অস্ত্র বিক্রি ও সশস্ত্র ড্রোন রফতানিতেও বিশ্বের শীর্ষ দেশের তালিকায় রয়েছে চীন। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি) এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত তথ্য মতে বিশ্বে সবচেয়ে বড় অস্ত্র কারবারি হয়ে উঠছে চীন। চীন গত ৫ বছরে ৫৩টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করছে। ৫ বছর আগে তা ছিল ৪১টি দেশে। ঘাতক ড্রোন রফতানিতেও শীর্ষে রয়েছে চীন। আর তাদের প্রধান ক্রেতা আরব দুনিয়ার দেশগুলো।
গবেষকেরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, চীন গত ৫ বছরে ১৩টি দেশে ১৫৩টি ড্রোন রফতানি করেছে। আরব দেশ গুলোর মধ্যে ক্রেতার তালিকায় রয়েছে মিসর, ইরাক, জর্ডন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
অন্যদিকে বিশ্বের বৃহত্তর অস্ত্র রফতানিকারক দেশ আমেরিকা ২০০৯ থেকে ১০ বছরে শুধু ব্রিটেনের কাছে ৫টি ড্রোন বিক্রি করেছে। মার্কিন অস্ত্রের শীর্ষ তিন আমদানিকারক দেশ হচ্ছে সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিররাত।
সিপরির অস্ত্র হস্তান্তর ও সামরিক ব্যয় কর্মসূচির গবেষক ন্যান তিয়ান বলেন, চীনা সামরিক প্রযুক্তির কারণেই অস্ত্র রফতানি বৃদ্ধি মন্থর হয়েছে। এখন তারা নিজস্ব প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। সশস্ত্র ঘাতক ড্রোন হলো চীনা অস্ত্র উৎপাদনকারীদের তৈরি অন্যতম প্রযুক্তিগত সাফল্য। অস্ত্র রফতানি হ্রাস পাওয়ায় চীনা সামরিক ব্যয়ের বৃদ্ধিও হচ্ছে অনেক কম গতিতে।
বেইজিং জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জন্য তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হবে ৭.৫ ভাগ। এ নিয়ে টানা চার বছর তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি একক অঙ্কে সীমিত থাকছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রধান মিত্র পাকিস্তানই দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনছে।
চীনা অস্ত্রের মধ্যে ৭০ ভাগ যাচ্ছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে। আর ৬.১ ভাগ যাচ্ছে আরব দুনিয়ায়। সম্প্রতি যুদ্ধবিমান তৈরির গোপন বোঝাপড়া করেছে চীন–পাকিস্তান।
চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অত্যাধুনিক জেএফ–১৭ যুদ্ধবিমান বানাতে পাকিস্তানকে সাহায্য করছে চীন। সেই সঙ্গে সামরিক যন্ত্রাংশ তৈরিতেও হাত মিলিয়েছে দুই বন্ধু দেশ। ভারতের আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোর সঙ্গে জোরদার টক্কর দিতে এই ফাইটার জেট ব্যবহার করবে পাকিস্তান।