নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় অর্ধশত মানুষের যে প্রাণহানি হয়েছে তার মধ্যে তিন জন ছিলেন বাংলাদেশি। এর মধ্যে এক জন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।
নিহত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পৌর এলাকার মধুরহাইল্লা গ্রামে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ছিলেন। তার তিন ছেলে রয়েছে। তিনি নিউজিল্যান্ডে সিটিজেনশিপ নিয়ে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। আরেক ছেলে বাংলাদেশেই থাকেন।
নিহত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদের সহকর্মী কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ পাঁচ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরি ছেড়ে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমান।
তিনি আরো জানান, ক্রাইস্টচার্চের হামলার ঘটনায় ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ নিহত হয়েছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ ওই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন।
তারা আরো জানান, যেহেতু তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। তার মরদেহ দেশে পাঠাবে কি না সেটা দু'দেশের সরকার সিদ্ধান্ত নিবেন।
নিহত ড. মো. আবদুস সামাদের ছোট ভাই ও নাগেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এ কে এম শামসুদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা নিউজিল্যান্ড থেকে মেসেজ পেয়েছি যে, আমাদের ভাই ড. মো. আবদুস সামাদ বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে আমার ভাবি ও তাদের দুই ছেলে ভালো আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই ড. সামাদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। গত ৮-১০ বছর ধরে স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি। তবে মাঝে মাঝে তিনি দেশে আসতেন।’
নিহতের আরেক ছোট ভাই আব্দুল কাদেরের বরাত দিয়ে শামসুদ্দিন বলেন, ‘আমার ছোট ভাই কাদেরের সঙ্গে আমার ভাবির কথা হয়েছে। তিনি ও তাদের দুই ছেলে ভালো আছেন। আমরা আরও খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।’