Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চট্টগ্রামের পথে প্রধানমন্ত্রী, নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা নগরী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৭ AM
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৭ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং নগরের লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মূল কাজের উদ্বোধন করতে আজ রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টানেল এলাকা পর্যন্ত ভিআইপি সড়ক, টানেল প্রকল্প এলাকা ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা।

দেশের প্রথম এই টানেল নির্মাণকাজের উদ্বোধনের জন্য রোববার সকাল ১০টার দিকে প্লেনযোগে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার সঙ্গে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

 

ভিআইপি সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা মেরাজ বলেন, পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের কয়েক হাজার সদস্য।

সেতু বিভাগ সূত্রে জান গেছে, সকাল ১১টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম পৌঁছাবেন। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সড়ক পথে নিকটস্থ টানেল এলাকায় যাবেন। ওখানে টানেলের বোরিং কাজ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পাইলিং কাজের উদ্বোধন করবেন।

এখান থেকে তিনি টানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না কনস্ট্রাকশন কোম্পানির তৈরি করা রেস্ট হাউজে গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন। পরে পতেঙ্গা সাগর পাড়ে আয়োজিত ব্যতিক্রমী এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষ করে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিমানে ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা তিন হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।

দুই টিউবের মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এর সঙ্গে টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ওয়ান সিটি টু টাউন মডেলে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তির উদ্দেশে এ টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে সরাসরি কক্সবাজারের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

ফলে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমে আসবে। প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি ৩২ শতাংশ এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

Bootstrap Image Preview