সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নদী কালিন্দীতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ৩০ মিনিট পতাকা বৈঠক শেষে ১টি মাছ ধরা ট্রলারসহ কক্সবাজার জেলার ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কৈখালী বিজিবি ও শ্যামনগর থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বুধবার এ সকল জেলেকে হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তরকৃত জেলেরা হলেন, কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানার শহিদুল ইসলাম (১৯), আব্দুল করিম (৫০), সাদ্দাম হোসেন (২১), ইরফান (২৩), মালেক (৩৩), মনিরুল্লাহ (৩৮), রহমতউল্যা (৩১), নুরুল আফসার (৪৫), শুকুর (৪১), নুরুল (৫০), গিয়াস উদ্দিন (৪২), আব্দুল মুনাফ (৪২), রফিক উদ্দিন (৪২), মামুন মাঝি (৩২) রবিউল বাসার (২৭), নুরুস সাফা (৫৬) ও গিয়াস উদ্দিন (৩১)।
জানা যায়, গত ১০ আগষ্ট সাগরে মাছ ধরতে যায় এ সময় মাছ ধরাকালিন তাদের ব্যবহ্নত ট্রলার এফবি জব্বার শাহ'র ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে ভাসতে ভাসতে ভারত সীমানায় প্রবেশ করলে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নীলডুমুর ১৭-বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর জি এম রাশিদুল হাসান, অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মোঃ রাশেদুল আলম, কৈখালী বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ সেলিমসহ অন্যান্য বিজিবি সদস্যবৃন্দ।
অপরদিকে ভারতীয়দের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ২৭-বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট এসআর চরণ, এ্যাসিন্ট্যান্ড কমান্ড্যান্ট অনিল চেীরাছিয়া ও শমসের নগর কোম্পানি কমান্ডার আশিষ কুমার শর্মাসহ ভারতের হেমনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রাখেশ চ্যাট্যার্জী, শ্যামনগর থানার এসআই তেীফিক আহম্মেদ, মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্যামনগর থানা পুলিশ জানায় হস্তান্তরকৃত জেলেদের কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মনোনিত প্রতিনিধি একই থানার বড়কুপ গ্রামের মোঃ নুরুল কাদের (৪২) এর জিম্মায় জেলেদের বাড়িতে ফেরত প্রদান করা হবে।