ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আবারও অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বুধবার সকালে এ অভিযান শুরু হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আমিন মোমেন হাউজিং এ উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিনকে প্রধান কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়। প্রশ্ন উঠেছে বিআইডাব্লিউটিএ’র উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা আমিন মোমেন হাউজিং এর হর্তাকর্তাদের চাপে যুগ্ম পরিচালককে সরিয়ে নিয়েছে।
আজ সরজমিনে দেখা যায়, উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর সেখানে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যা অন্য সময়ের উচ্ছেদ অভিযানের চেয়ে বেশি। ইতোমধ্যে বুড়িগঙ্গা নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা আমিন মোমেন হাউজিং এর একটা অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক জানান, আমিন মোমেন হাউজিং কর্তৃক দখলকৃত জায়গা উদ্ধার করা হবে। আর এর পাশাপাশি বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল ফিরে পাবে। যে কোন বাঁধা মোকাবেলা করার জন্য ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নদীর জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা কোথায় কোথায় গড়ে তোলা হয়েছে তা দেখতে গেলে সেখানে বাঁধা প্রদান করে আমিন মোমেন হাউজিং এর দুই কর্মী। সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের কারণে তাদের দুইজনকে আটক করে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এরপর মঙ্গলবার সকালে হাউজিং টিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গেলে সেখানে পুনরায় বাঁধা দেয়া হয়। ছাত্রলীগের নামে বাঁধা প্রদান করে আসাদুজ্জামান তালুকদার লাবু নামের এক যুবক। সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের কারণে তাকেও আটক করা হয়।