Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হাসপাতালের গেটে দালালের খপ্পরে পড়ে প্রসূতির মৃত্যু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১০ PM
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১০ PM

bdmorning Image Preview


ময়মনসিংহের নান্দাইলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে দালালের খপ্পরে পড়ে জিনুয়ারা (২৫) নামে এক প্রসূতির  মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম খানের ব্যক্তিগত চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নান্দাইল ইউনিয়নের দাতারাটিয়া গ্রামের মোস্তফা কামালের স্ত্রী জিনুয়ারার প্রসব বেদনা শুরু হলে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার সময় তারা দালালদের খপ্পরে পড়েন।

কল্পনা, বেদেনা, হেলেনা ও নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক আয়া শাহানার জবরদস্তিতে তারা জিনুয়ারাকে ডা. তাজুল ইসলামের চেম্বারে নিয়ে যান। সেখানে জোরপূর্বক প্রসব ঘটানোর সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান জিনুয়ারা। পরে প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নবজাতক শিশু সুস্থ রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঘটনার বিবৃতি দিয়ে নিহতের ভাবী পারভিন বেগম জানান, সকাল সোয়া ৭টার দিকে জিনুয়ারাকে নিয়ে হাসপাতাল গেটে প্রবেশ করতেই দুই নারী এসে পথরোধ করে এবং তারা পাশের একটি বাসায় একরকম টেনে নিয়ে যায়।

সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বাচ্চা প্রসবের চেষ্টার পর জিনুয়ারা নিস্তেজ হয়ে যায়। জিনুয়ারা ঘুমিয়ে গেছে জানিয়ে তারা জিনুয়ারার পরিবারকে আশ্বস্ত করেন।

একপর্যায়ে আধ ঘণ্টা পার হলেও প্রসূতির কোনো ধরনের সাড়াশব্দ না পেয়ে দুই নারী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে ফেলে রেখে লাপাত্তা হয়ে যান।

নান্দাইল স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী এনামুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি হাসপাতালের নজরে এসেছে। দালালদের ব্যাপারে আগামী স্বাস্থ্যসেবা কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে।

এ ঘটনার ব্যপারে ডা. তাজুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এখানে আমি প্রতি শুক্রবার এসে রোগী দেখি। ওই চেম্বারে তিনি ছাড়া অন্য কেউ রোগী দেখার কথা না বলেও জানান ডা. তাজুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার নেত্রকোনা থেকে এসে ওই বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী দেখে থাকেন ডা. তাজুল ইসলাম। সেখানে প্রসূতিতে ডেলিভারি করানো হয় বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল কুদ্দুস খান বলেন, নিহত প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আপত্তি না থাকায় আইনিব্যবস্থা নেয়া যায়নি।

তবে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখা প্রসূতি হত্যায় জড়িতদের জরুরিভাবে আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির দাবি করেছেন।

Bootstrap Image Preview