চলতি বছর থেকে হজে গমনেচ্ছুদের খরচ ২২ হাজার টাকা কমানো হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘খুলনা বিভাগীয় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জানান।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ধর্মই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। প্রত্যেক ধর্মের মূল শিক্ষা হচ্ছে শান্তি এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি। আমাদের সমাজে একশ্রেণির লোক আছে, যারা ধর্মকে নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘একশ্রেণির লোক বিদ্বেষ ছড়িয়ে তরুণ সমাজকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে। তারা যদি তাদের আলোচনায় ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে তাহলে আর কেউ সন্ত্রাস, নাশকতা, মাদক ও জঙ্গিবাদের মতো অসমাজিক কাজকর্মে লিপ্ত হবে না।’
তাবলীগের মধ্যকার দ্বন্দের বিষয়ে উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তাবলীগের দুপক্ষের নেতাদের সাথে ফলপ্রসু আলোচনা করে উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানো গেছে। আগামীতে ১৫ হতে ১৮ ফেব্রুয়ারি চার দিনব্যাপী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। যে কোনো আন্তঃধর্মীয় এবং অন্তঃধর্মীয় ভুলবোঝাবুঝি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়।’
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ধর্ম সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এসএম ফজলুল রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ আব্দুল হামিদ জমাদ্দার ধন্যবাদ জানান খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, ইফাবা পরিচালক শাহীন বিন জামান, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুন্ডু, খ্রিষ্টান সোসাইটির সভাপতি নরভাট গোমেজ, ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম, হাজী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ফেরদৌস হাসান ফরাজি, মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবির এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব।