সুনামগঞ্জের শিল্পনগরী ছাতকে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলায় চার জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ছাতকের বাতিরকান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ, রফিক, জায়েদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জুলিয়া গ্রামের সুজন। মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সালেহ আহমদ পলাতক রয়েছেন।
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর রায় প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লোমহর্ষক এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ (শুক্রবার) ছাতক উপজেলার বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে, মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ইমন লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি স্কুলের শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।পরে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে খুন করে।
মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল (রবিবার) ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে পুলিশ। তার দেখানো মতে বাতিরকান্দির হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এ মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিচারের জন্য সিলেটে দ্রতবিচার ট্রাইব্যুনালে আসে।
২০১৮ সালের ২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর, যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।