জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৪৭/৪৮ বছরের পুরোনো দু’টি কবর স্থানান্তরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ সোমবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের নিলু শেখের পাড়া মহল্লায় দেখা যায়, পাশাপাশি দু’টি পুরনো কবর নতুন করে খোড়াখুঁড়ি চলছে। সেখানে ভিড় করেছে এলাকার কয়েকশ নারী-পুরুষ।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৭২ সালের দিকে মারা যান মোবারক মৃধার ছেলে জমশের আলী মৃধা। এর বছর খানেক পর মারা যান তার স্ত্রী শরীফুন বেগম। নিজ আঙ্গিনায় তাদের দাফন করা হয়। পৈত্রিক বাড়িটি বংশানুক্রমে কয়েক দফা ভাগাভাগি হয়। ভাগাভাগির এক পর্যায়ে কবর দু’টি মৃত জমশের মৃধার ভাতিজা খালেক মৃধার অংশে পড়ে।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে বাড়িটি হওয়ায় এরই মধ্যে জমির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকশ গুণ। এতেই বাঁধে বিপত্তি। কবরের জায়গা বাবদ জমশের মৃধার ছেলেরা আধা শতাংশ জমি ছেড়ে দিলেও খালেক মৃধার দাবি আরো বেশি জমি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় বিরোধ। শেষ পর্যন্ত জমশের মৃধার ছেলে কমেদ আলী মৃধা বাবা-মায়ের কবর সরিয়ে নিজের জায়গায় আনার সিদ্ধান্ত নেন।
কমেদ আলী মৃধা জানান, পৈত্রিক বাড়ি ভাগাভাগি হয়ে জমির আকৃতি এমন হয়েছে যে বসবাস করাই দুষ্কর। তারপরও বাবা-মায়ের কবরের কথা বিবেচনা করে আধা শতাংশ জায়গা ওদের ছেড়ে দিয়েছিলাম। তাতেও ওরা ক্ষান্ত হয়নি। ওদের দাবি আরো বেশি জমি। তারপর বাড়ির পেছনের দিক থেকে আরো আধা শতাংশ জমি ছেড়ে দিতে চেয়েছি। ওরা মানেনি এবং পাকা স্থাপনা ভেঙে দেয়ার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। বিভিন্ন সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে বাবা-মায়ের কবর স্থানান্তর করছি।
এদিকে কবরস্থানের জমির মালিক আ. খালেক মৃধার ছেলে জুবায়ের আহমেদ বলেন, কবর সরিয়ে নিতে আমরা কখনো বলিনি। তাদের ছেড়ে দেয়া জায়গায় পাকা টয়লেট ভেঙে দেয়ার কথা বলায় তারা কবর সরিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আব্দুল রশিদ ফকীর জানান, বিষয়টি নিয়ে অনেকবার বসে আপোস করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছি।