Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:০৫ PM
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:০৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের কৃত্রিম চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে এসব চাল উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা থানা পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত এসব চালের মধ্যে ১৫ কেজি পরীক্ষার জন্য ঢাকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার বিকেলে শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে ছয় কেজি চাল কেনেন গাইবান্ধা শহরের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা রনি মিয়া। এসব চাল বাড়িতে নিয়ে ভাত রান্নার পর খেতে অন্যরকম লাগে। এতে ভাতের চাল নিয়ে তার সন্দেহ হয়।

সোমবার সকালে এই চাল ভাজতে গেলে দেখা যায়, কড়াইতে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাল পুড়ে গলে যায়। একপর্যায়ে দেখা যায়, আগুনের তাপে সব চাল গলে জমাট বেঁধে বল আকৃতির হয়ে যায়।

পরে রনি মিয়া এসব চাল নিয়ে সদর থানায় উপস্থিত হন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে প্লাস্টিকের চাল বলে নিশ্চিত হয়। তার অভিযোগ পেয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়কে বিষয়টি জানান। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়ের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ টিম গঠন করা হয়।

এই ভ্রাম্যমাণ টিম বাজারের দোকানগুলোতে অভিযান চালায়। এ সময় শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের কৃত্রিম চাল উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া শহরের ডিবি রোডসহ আরও কয়েকটি চালের দোকানে অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ টিমে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাছুম আলীও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, রনি মিয়া নামে এক ব্যক্তি প্লাস্টিকের এসব চাল নিয়ে থানায় আসেন। চালগুলো দেখে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়কে জানাই। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে প্লাস্টিকের এসব চাল উদ্ধার করেন তিনি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে উদ্ধারকৃত এসব চাল প্লাস্টিকের। এরপরও উদ্ধারকৃত চালের মধ্যে ১৫ কেজি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেব।

Bootstrap Image Preview