Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আত্মকর্মী থেকে সফল উদ্যোক্তা সেনবাগের সুজন

জামশেদুল রহমান, সেনবাগ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:৪২ PM
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:৪২ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালী সেনবাগের উত্তর শাহাপুর গনশা বাড়ির মোঃ গোলাম ছারওয়ার পুত্র মোঃ সামছুর রহমান সুজন একজন আত্মকর্মী থেকে বর্তমানে একজন সফল উদ্যোক্তা। সুজন ২০০৮ সালে তিনি মাষ্টার্স পাশ করেন। এরপর বিভিন্ন স্থানে চাকরির জন্য হন্নি হয়ে ঘুরেন। কিন্তু চাকরি নামের সোনার হরিণ তার ভাগ্যে না জুটলেও তিনি বসে থাকেন নি। চেষ্টা করেছেন কিছু একটা করার জন্য।

এরই মধ্যে তার বড় ভাই মো: মিজানুর রহমান সজলের পরামর্শে তিনি যুব উন্নয়ন অধিদফতরের আওতায় নোয়াখালী যুব প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে দুগ্ধবর্তী গাভী পালন ও গরু মোটা তাজাকরণের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সেই প্রশিক্ষণ শেষে তিনি প্রাথমিকভাবে যুব উন্নয়ন থেকে ঋণ নিয়ে ২টি গাভী কিনে ছোট আকারে খামার স্থাপন করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি তা সম্প্রসারিত করতে থাকেন।

এরপর ২০১৩ সালে গবাদী পশু হাস মুরগি পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা, মৎস চাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যুব ঋণ ও পারিবারিক আর্থিক সহায়তা নিয়ে দক্ষতার সাথে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে গাভী ও বাচুর মিলিয়ে ৩০টি গরু রয়েছ এবং গরুর বিষ্টা দিয়ে বাযোগ্যাস প্লাট করা হয়। এই বায়োগ্যাসেরর মাধ্যমে নিজের জ্বালানী মিটিয়ে আরো ছোট দুটো পরিবারের জ্বালানী মিঠিয়ে থাকে এবং তার খামারে বর্জ্য জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তার খামারে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ লিটার দুধ পাওয়া যায়।

তার বর্তমানে দুগ্ধ খামার ছাড়াও আরো কয়েকটি মৎস খামার রয়েছে। যার জমির পরিমাণ ২ একর। বর্তমানে তার মৎস খামারের প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে। এছাড়াও তিনি প্রতিবছর শাক সবজি ও ধান চাষ করে অনেক টাকা আয় করে থাকেন। বর্তমানে তার খামারে নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলিয়ে মোট ১০ জন লোক কাজ করে যাচ্ছে এবং তিনি একজন  সফল কৃষকও বটে।

বর্তমান সরকারের বাস্তব মুখি কৃষি নীতির ফলে মানুষ এখন ধান, পাঠ, শাকসবজি, দুগ্ধ খামার, পল্ট্রি এবং মাছ চাষের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এদিকে আত্মকর্মী সুজনের নানামুখি পরিকল্পনা দেখে এলাকার বেকার তরুন যুবকরা দিন দিন তার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। অনেক তার দেখাদেখি নিজেরা আত্মনির্ভরশীল হতে চেষ্টা করছেন। অনেক বেকার যুবক সুজনের কাছে বিভিন্ন শলা-পরামর্শের জন্য আসেন। সুজনও তাদের হাসি মুখে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। 

আত্মকর্মী থেকে সফল উদ্যোক্তা মোঃ সামছুর রহমান সুজন এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হলে আগে কৃষি সেক্টরকে প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। সরকারকে বাস্তবমুখী কৃষি নীতি গ্রহণ করতে হবে। আমরা চাই সরকার প্রান্তিক কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে আরো বেশি আন্তরিক হবে। 

সুজন এক সময়ে বাংলাদেশর মানুষের জন্য রোল মডেল হবে এমনটাই মনে করেন এলাকাবাসী।

Bootstrap Image Preview