নোয়াখালী-হাতিয়া নৌ রুটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নদী পারাপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ২৩ কিঃ মিঃ নদী পথ পাড়ি দিতে হয় হাজার হাজার মানুষকে। এই রুটে চলাচলকারী সরকারি দুইটি সী ট্রাক প্রায় সময় বিকল থাকে। ফলে বাধ্য হয়ে নৌকা ও মাছ ধরার ট্রলারে করে যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের।
এমতাবস্থায় দ্রুত সী ট্রাক দু'টি পূর্ণাঙ্গ মেরামত করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাগবের দাবি এলাকাবাসীর। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি আয়েশা আলী।
বলতে গেলে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা নোয়াখালীর হাতিয়া। এখানে ৭ লাখ মানুষের বসবাস। নোয়াখালীর মূল ভূখন্ড থেকে হাতিয়া উপজেল সদরে পৌছতে পাড়ি দিতে হয় ২৩ কিলোমিটার নদী পথ। এই নদী পথ পার হতে সাধারণ মানুষকে নির্ভর করতে হয় দুইটি সী ট্রাক, তিনটি ট্রলার ও ৭-৮টি স্পীড বোর্ড এর উপর। সী ট্রাক দুটি অনেক পুরোনো হওয়ায় প্রায় সময় বিকল থাকে। ফলে হাতিয়াবাসী নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হয়ে পড়ে তিনটি ট্রলার বা মাছ ধরার নৌকা, আর কয়েকটি স্পীড বোর্ড।
এই রুটের নলচিরা ঘাট ও চতলা ঘাটে পলটুন নাই। যাত্রী সাধারণ পানি ও কাদার মধ্যদিয়ে ট্রলার, স্পীড বোর্ডে উঠা নামা করতে চরম ভোগান্তির স্বীকার হন। পর্যাপ্ত পরিমান লাইফ জ্যাকেট ও বয়া না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা নদী পার হতে হচ্ছে।
দুই পাড়ে কোন যাত্রী চাউনি নেই। ট্রলার ও স্পীড বোর্ডে যাতায়াতের সময় বৃষ্টি আসলে যাত্রীদের মালামাল ভিজে যায়। সী ট্রাক সমস্যা সমাধানসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নয়নের দাবি স্থানীয়দের। পল্টুন না থাকলেও প্রতিজনকে পল্টুনের জন্য ৫ টাকা ভাড়া দিতে হয়। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা দ্রুত হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট ও নলচিরা ঘাটে দুটি সী ট্রাকের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্দেশ বলেন, নদী পথে যাতায়াতে বিড়ম্বনা কথা স্বীকার করে এই সেক্টককে বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের প্রস্তাব করেন।
নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি আয়েশা আলী বলেন, তবে সহসায় নোয়াখালী-হাতিয়া নৌ রুটে যাত্রী পারাপারসহ সার্বিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু আশ্বাস নয়, নোয়াখালী-হাতিয়া নৌ রুটে নতুন সী ট্রাক বরাদ্ধসহ যাত্রী পারাপারে দুর্ভোগ লাগবে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা হাতিয়াবাসীর।