বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতারনার মাধ্যমে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিকাশের ভুয়া ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বিকাশের ডিসট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও) পরিচয়দানকারী সিরাজগঞ্জ সদরের নতুন ফুলবাড়ি দক্ষিণ পাড়ার ইসাহাক আলীর ছেলে সোহেল রানা (২৩) ও মোতালেব হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম সজিব (২৪)। তারা আন্তঃদেশীয় প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য বলেও জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিলচাপড়ি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে মাসুদ রানা দীর্ঘদিন ধরে বিলচাপড়ি বাজার এলাকায় বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা করে। গত ১০ জানুয়ারী বিকেলের দিকে অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে মাসুদ রানাকে কল করে সোহেল রানা।
বিকাশের ডিসট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও) পরিচয় দিয়ে মাসুদ রানার নিকট থেকে কৌশলে বিকাশ এজেন্ট নম্বরের পাসওর্য়াড ও ভেরিফিকেশন কোড নেয় সোহেল রানা। কিছু সময় পর মাসুদ রানা তার বিকাশ এজেন্ট নম্বরের ব্যালান্স চেক করে শুন্য দেখতে পায়। প্রতারক চক্র অল্প সময়ের মধ্যেই মাসুদ রানার বিকাশ এজেন্ট নম্বর থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৬ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ ঘটনায় ১৯ জানুয়ারী ধুনট থানায় একটি সাধারণ ডাইরী (জিডি) করে মাসুদ রানা। এই জিডি'র আলোকে র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ইউনিটের সদস্য অনুসন্ধান করে সোমবার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে কাজিপুর উপজেলা সদর এলাকা থেকে সোহেল রানা ও সিরাজুলকে গ্রেফতার করে ধুনট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনাচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিকাশের ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রতারনার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় সোহেল রানা ও সিরাজুল। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।