বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রের এলাকাবাসীরা।
রবিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে মেঘলা পর্যটনের দ্বিতীয় গেটে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মেঘলা এলাকার সর্বস্তরের জনগণসহ পাবর্ত্য অঞ্চলের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রের ভিতরে অবস্থিত দোকানদারদের দোকান ভেঙ্গে দেওয়া, দোকানদারকে শারীরিক নির্যাতন ও এলাকাবাসীদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার দোকানদার বিনয়লাল তঞ্চঙ্গ্যা, পাড়া প্রধান নলিনী সেন তঞ্চঙ্গ্যা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য দেয়, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেংপং ম্রো, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক উচপ্রু মারমা, বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অনিক তঞ্চঙ্গ্যা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বামং মারমা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যাতায়াত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে। এছাড়া শীঘ্রই মেঘলা দ্বিতীয় গেটের তালা খুলে দিয়ে চাবি পাড়াবাসীদের কাছে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
পাড়া প্রধান নলিনী সেন বলেন, কথাবার্তা ছাড়াই আমাদের চলাচলের পথটি বন্ধ করে দিয়েছে বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম। গত দুই বছর আগে গেট নির্মাণের সময় তখনকার জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক গেট নির্মাণের চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না বলে ছিলেন। এখন এই গেট আমাদের পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে বর্তমান ডিসি এমন নয়। আমরা ডিসি বিরুদ্ধে কথা বলতে চাইনা। এরপরও বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে।
এর আগে যে জেলা প্রশাসক কাজ করে গিয়েছেন, তারা সবাই আমাদের সুখে-দু:খের কথা চিন্তা করে আমাদের সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে। অথচ বর্তমান জেলা প্রশাসক আমাদের দুর্ভোগের আর দু:চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
শারীরিক নির্যাতনের বিনয়লাল তঞ্চঙ্গ্যা মানববন্ধনে বলেন, ময়লা পরিষ্কার নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম বলেছেন, এখানে চাকরি করতে এসেছি। কাউকে মারতে আসি নাই। চলাচলের পথ বন্ধ নেই। খোলা আছে।