Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মহাদেবপুরে আমন ধানে সচল হয়েছে চাতাল কল 

ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ০১:২৩ PM
আপডেট: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ০১:২৩ PM

bdmorning Image Preview


দেশের অন্যতম বৃহৎ খাদ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত নওগাঁর মহাদেবপুর। চলতি মৌসুমে আমন ধান কাটা ও মাড়াই কাজ শেষ হয়েছে। হাট বাজারে এখন বিপুল পরিমাণে নতুন আমন ধান উঠেছে। কয়েক মাস আগে ধানের অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া চাতাল কলগুলো আবারও সচল হয়ে উঠেছে। বন্ধ থাকা চাতাল কলের বেকার শ্রমিকরা আবার কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে। চাতালে এখন ধান শুকানোর কাজে কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা।

সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ধানের অভাবে যে চাতাল কলগুলো বন্ধ হয়ে পড়েছিল, সে চাতাল কলগুলো এখন কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এলাকায় আমন ধানের ফলন ভাল হওয়ায় চাতাল কলগুলোতে ধানের সরবরাহ হচ্ছে পর্যাপ্ত।

মহাদেবপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় লাইন্সেস প্রাপ্ত ৩’শ ৩৬ টি চাতাল কল ও ১৮টি অটো চাউলকল রয়েছে। এসব অটো এবং চাতালকলে প্রায় ১২ হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করে। এসব চাউলকল নতুন ধান উঠার পর পুরোদমে চালু হওয়ায় শ্রমিকদের ব্যস্ততা ও আয় দুটোই বেড়েছে। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই চাতাল কলগুলোতে চাল উৎপাদনে ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব চাউলকলে অধিক পরিমাণ শ্রমিকের প্রয়োজন হওয়ায় পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে চাতাল কন্যা হিসাবে পরিচিত নারী শ্রমিকদেরও কদর বেড়েছে। তবে চাতালে কর্মরত নারী শ্রমিকরা মজুরী বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একজন পুরুষ শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে ৩’শ থেকে ৩’শ ৫০ টাকা পেলেও এক জন নারী শ্রমিক পায় মাত্র ১’শ ২০ থেকে ১’শ ৫০  টাকা।

এ ব্যাপারে মহাদেবপুর চাউলকল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ওসমান গণি জানান, এবার এই উপজেলায় আমন ধানের ভাল ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যেই অটো এবং চাতাল কলগুলো পুরোদমে উৎপাদন শুরু করেছে। অন্যান্য বছরের মত এবারও মহাদেবপুরে উৎপাদিত চাল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

Bootstrap Image Preview