Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটা বহাল আছে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৩ PM
আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৩ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দিলেও আইনানুযায়ী প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা বহাল রয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

এসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’ এবং ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা, ২০১৫’ এর আলোকে প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

শফিউল আলম বলেন, ‘আইন বা বিধিমালার আলোকে সেই ব্যাপারে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। প্রবেশগম্যতা বা অ্যাক্সেসিবিলিটি, অর্থাৎ প্রতিবন্ধীরা চলাফেলার ক্ষেত্রে কোন জায়গায় কীভাবে যাবেন সেটা নিয়ে অনেকগুলো বিষয় রাখা আছে।’

‘প্রবেশগম্যতা যেমন- ভৌত অবকাঠামো, পরিবহন ও যোগাযোগসহ জনসাধারণের প্রাপ্য সব সুবিধা ও সেবাসমূহে অন্যদের মতো সমসুযোগ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যবহার উপযোগী নিশ্চিত করা’।

উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাসে আজকাল প্রতিবন্ধীরা উঠতে গেলে একজন টেনে তুলতে হবে বা ল্যাডার লাগাতে হবে। অন্য দেশে দেখবেন যে বাস বে’র সাথে সেইম লেবেল, হুইল চেয়ার দিয়ে উঠে যেতে পারে। আমাদের আস্তে আস্তে ওই বিষয়গুলোর মধ্যে যেতে হবে, এ বিষয়গুলো এখানে আছে।’

শফিউল আলম বলেন, ‘ভবনগুলোতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-২০০৬ এর বিধানগুলো কার্যকর করা।

উদাহরণ দিয়ে শফিউল আলম আরও বলেন, ‘সব গণস্থাপনা ভবন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আদালত, পুলিশ স্টেশন, আইনি সহায়তা কেন্দ্র, রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল, বিমান বন্দর, নৌ ও স্থল বন্দর, দুযোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্র, সাইক্লোন সেল্টার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, উড়াল সেতু, পরিসেবার স্থান, বিনোদন ও খেলাধুলার স্থানসহ সকল জায়গায় এটা (বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন) করা।’

‘বিমানে আই-চেয়ার, কেবিন চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা, দুযোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্র ও সাইক্লোন সেল্টার শিশু ও দুগ্ধ কন্যার প্রবেশগম্য টয়লেট ইত্যাদি রাখার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। এগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে।’

প্রসঙ্গত, কোটা বাতিলের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি) পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিলের সুপারিশ করে। পরে গত বছরের ৩ অক্টোবর কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

Bootstrap Image Preview