Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৯০ দিনের মাথায় পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে মিলল কোটি টাকা আর স্বর্ণ

রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:২৯ PM
আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে এবার এক কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৩ টাকা পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে গণনা শেষে এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

এর আগে গত বছরের ১৩ই অক্টোবর দান সিন্দুক খোলার পর এক কোটি ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ফলে গত তিন মাস ৬ দিনে মসজিদটির দানবাক্সে এক কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৩ টাকা পাওয়া গেছে। সেই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে এক লাখ ১৮ হাজারেরও কিছু বেশি টাকা মসজিদটির দানবাক্সে জমা পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় মসজিদ মাদরাসার ৬০ জন ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজির হোসেন, মো. শরীফুল আলম ও সাগুফতা হক টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

এ সময় সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। টাকা গণনার এই এলাহী কাণ্ড নিজ চোখে অবলোকন করতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ মসজিদে ছুটে যান।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দান সিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। কথিত আছে, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনোবাঞ্চা পূর্ণ হয়। সেজন্য দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এখানে দান করে থাকেন।

জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদটির অবস্থান। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।

টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজির হোসেন জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার এক কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৩ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ডলার, সিংগাপুরী ডলার, সৌদী রিয়াল, মালোয়েশিয়ান রিংগিট ভাল পরিমাণের স্বর্ণালঙ্কার পাগলা মসজিদের দান বাক্সে জমা পড়েছে।

Bootstrap Image Preview