মামলা করে নিম্নমানের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করা হয়েছে ভারতীয় একটি অখ্যাত কোম্পানি। এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।
শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে কিশোরগঞ্জে সরবরাহ করা ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলের নমুনা পর্যবেক্ষণের সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এই ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ কোম্পানির কোনো সুনাম নেই। মামলা করে তারা আমাদের এ ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করেছে। লাল ক্যাপসুল নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন এ রকম হলো পরীক্ষার পর তা বলা যাবে। তবে দেশের কোম্পানি থেকে কেনা সবুজ রঙের ট্যাবলেটে কোনো সমস্যা নেই।’
‘মামলা করে নিম্নমানের ওই ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। সরবরাহ করা এসব ক্যাপসুল কৌটার সঙ্গে লেগে আছে। আলাদা করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ যোগ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ‘ভিটামিন এ ক্যাপসুলে শিশুদের যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয়-এ জন্য আপাতত এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে শিগগিরই এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে’
এ সময় জেলা প্রশাসন সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামিল, সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান, জেলা ২৫০ শয্যা কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে উপ-পরিচালক রাজিয়া সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজাল, জেলা বিএমএর সভাপতি ড. মাহবুব ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল ওয়াহাব, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি ডা. দীন মোহাম্মদসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ২৫০ শয্যা কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।