Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচন যুদ্ধে ২৫ বছরের প্রিয়াংকার দিকেই দৃষ্টি সবার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:১১ PM
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:১১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া এক হাজার ৮৪৮ প্রার্থীর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাতে হঠাৎ করেই চলে আসেন মুলধারার রাজনীতিতে। গত ১৮ দিন ছুটে বেড়িয়েছেন শেরপুর-১ আসনের সর্বস্তরের মানুষের দ্বারে দ্বারে। নিজ যোগ্যতায় সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন তিনি। রাজনীতির চমক প্রিয়াংকার দিকে সবার দৃষ্টি।

নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে তিনি বসবেন এফসিপিএস পরীক্ষায়। তাই কোনো দিকেই মনোযোগ ছিল না প্রিয়াংকার। দিনরাত পড়াশোনা আর কর্মস্থল; কিন্তু হঠাৎ করেই পাল্টে যায় সব কিছু। বিএনপি থেকে জানানো হয় তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী।

'৯৩ সালে জন্ম নেয়া ডা. প্রিয়াংকার বয়স এখন ২৫ বছরের কিছু বেশি। ২০০৮ সালে মাধ্যমিক ও ২০১০ সালে উচ্চমাধ্যমিক। এর পর ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস। ২০১৬ সালে ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই প্রভাষক হিসেবে যোগদান। এফসিপিএস পরীক্ষায় বসবেন আগামী ৪ জানুয়ারি।

রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নিলেও রাজনীতি কখনই আকর্ষণ করেনি প্রিয়াংকাকে। হেঁটেছেন নিজের স্বপ্নে। বাবা হযরত আলী শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। প্রিয়াংকার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবেন। তবে বাবা বলতেন তোমাকে রাজনীতি করতে হবে।

শৈশব থেকেই ডা. প্রিয়াংকার লালিত স্বপ্ন- চিকিৎসক হবেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। শিক্ষাজীবন শেষ হয় সাফল্যের সঙ্গে। চিকিৎসক হিসেবে শুরু করেন কর্মজীবন।

এ বিষয়ে প্রিয়াংকা বলেন, 'চিকিৎসকতা আমার স্বপ্নের পেশা। বাবা রাজনীতি করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার বাসনা তাই জন্মসূত্রেই। মানুষের জন্য কাজ করব-এ স্বপ্ন থেকেই চিকিৎসকদের বিএনপি সমর্থিত সংগঠন ড্যাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।

‌ঘটনাচক্রে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও আব্বু সবসময়ই বলতেন-আমার পরেই কিন্তু রাজনীতিতে আসবে তুমি। কিন্তু সেটি যে এত তাড়াতাড়ি হবে, বুঝতে পারিনি। আব্বুর নামে মিথ্যা মামলা দেয়ায় তার হয়ে আমাকে লড়তে হচ্ছে। আব্বুর সাজানো মাঠটি আমি পেয়েছি। সেই মাঠেই এখন লড়াই করব আমি'-যোগ করেন প্রিয়াংকা।

ডা. প্রিয়াংকার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী হুইপ আতিকুর রহমান আতিক। ভোটের মাঠে লড়াই করেই জিততে হবে তাকে। ভোটের প্রচারে বাধাগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে ডা. প্রিয়াংকা বলেন, 'এখানে নিরপেক্ষতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অনেক জায়গায় নেই। চলমান রাজনীতি শুধু সরকারি দলের ক্ষমতায়নের জন্য, বিরোধীদের জন্য না।'

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা ২২ বছর পর বিএনপির প্রার্থী পেয়ে উজ্জীবিত স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরাও।

Bootstrap Image Preview