Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘উপরে আল্লাহ নিচে গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৪৭ PM
আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, নির্যাতন, ধানের শীষের পোষ্টার ছিড়ে ফেলাসহ নির্বাচনী প্রচারণায় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তৃক বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১০ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান।

বুধবার(১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রার্থীর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে উপরে আল্লাহ নিচে গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই। ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে সরকার বাহিনী কর্তৃক বার বার হামলার শিকার হয়েছি। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক লিখিত অভিযোগ করেও এর কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাইনি।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে উল্লেখ করে মান্নান বলেন, এখন পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা ১০ আসনে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। তফসিল ঘোষণার পর সাত থেকে আটটি মামলাসহ মোট শতাধিক মিথ্যা ও গায়বী মামলায় প্রতিদিনই বিএনপি জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাধা দান মারধরসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মী কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছে। পুলিশ নির্দ্বিধায় বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গায়েবী মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতা-কর্মীদের আটক করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য আমরা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনাবাহিনী অপেক্ষায় ছিলাম। যেহেতু চক্রান্তের মাধ্যমে তাদের মাঠে নামানো পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সেহেতু আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা আমাদের প্রচার-প্রচারণা তুমুলভাবে চালাবো।

সিইসির কথা পুলিশ মানছেন না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার বাহিনী কর্তৃক বিরোধীদলীয় বাধা প্রচারণায় বাধা প্রদানের লিখিত অভিযোগ নিয়ে সিইসির কাছে গেলে তিনি জানান পুলিশ আমাদের কথা মানছেন না।

তিনি বলেন, আমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইকবালকে তাঁর নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডি থানা নিয়ে যাওয়ার পর তার সাথে দেখা করতে যায়। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থন করেও দেখা করতে পারিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা সাথে দুই ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পোস্টার লিফলেট ছেরা, পোড়ানো ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা, মাইক ভাঙচুর, মেমোরি কার্ড নিয়ে যাওয়া, পোষ্টারের কাজে নিয়োজিত দিনমজুরদের গালিগালাজ করছে।

ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী আরো বলেন, আমার বাসভবনের চারপাশে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করা এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে আমার কর্মীসমর্থকরা আমার সাথে নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেখা করতে আসতে পুলিশ গ্রেফতার আতঙ্কে থাকেন। এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশন উপস্থিত হয়ে সরাসরি অভিযোগ করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

এসময় তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা কৌশলে আমাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের একেবারে সিনিয়র নেতাদের চেয়ে যারা ভালো সংগঠক তাদেরকেই হামলা মামলা করে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে।

এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview