হটাৎ করে মোবাইল কলচার্জ বৃদ্ধি, কলড্রপে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ না দেয়া ও বিরক্তিকর এসএমএস পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিট আবেদনটি শুনানির জন্য ৫১ নম্বর ক্রমিক নং ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার আইন সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য এম বদিউজ্জামান, মেহেদী হাসান ডালিম, মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশিদুল হাসান ‘জনস্বার্থে’ এ রিট আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে গত ১০ ডিসেম্বর উকিল নোটিশ পাঠিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে এই রিট আবেদন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেয়া এ রিট আবেদনে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি করে মোবাইল গ্রাহকদের অধিকার তত্ত্বাবধায়ন, পর্যবেক্ষণ ও সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের অধিকার সুরক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে।
কলড্রপে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে পৃথক কমিটি গঠনের আর্জিও জানানো হয়েছে রিটে। পাশাপাশি পুনরায় কলরেট ও অন্যান্য চার্জ বাড়ানো এবং মোবাইল গ্রাহকদের অনাবশ্যক ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
রিটে টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি, মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেড, এয়ারটেল লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড ও টেলিটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী ইসরাত গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের জানুয়ারি থেকে কলড্রপের জন্য গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা অপারেটরগুলোর। কিন্তু অপারেটরদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।