অন্যান্য সেক্টারের মতো দেশের পরিবেশ এবং বন মন্ত্রণালয়ের কাজের মাধ্যমেও পরিবেশ এবং বনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার বিগত দশ বছরে অর্জন করেছে অভাবনীয় সাফল্য।
গাজীপুরে প্রায় ৪ হাজার একর এলাকা জুড়ে প্রায় ৩২৫.৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইনিয়নের বড় রাথুরা ও সদর উপজেলার পিরুজালি ইউনিয়নে ৪৯০৯ একর বনভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে এ পার্ক।
স্বাগত জানাবে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রবেশ করলেই আপনাকে স্বাগত জানাবে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সাজানো গোছানো বাগানে রঙ-বেরঙয়ের ফুলের সুবাস সবাইকে মুগ্ধ করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের অন্যতম আকর্ষণ কোর সাফারি। কোর সাফারির ভেতর অবাধে বিচরণ করছে বাঘ, জেব্রা, জিরাফ, সাদা সিংহ, সাম্বার, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, ভাল্লুক ও গয়াল। যেখানে সাফারি পার্কের নির্দিষ্ট কাচঘেরা গাড়িতে করে অবাধে বিচরণ করে এসব প্রাণি দেখা যায়।
পার্কে আসা দর্শনাথীরা যা উপভোগ করবেন: তথ্য ও শিক্ষা কেন্দ্রে ভিডিও ব্রিফিং/প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে সাফারি পার্ক সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে বন্যপ্রাণি ও উদ্ভিদ প্রজাতি বৈচিত্র সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকরা পরিচিতি লাভ করতে পারেন। সাফারি পার্কের নির্দিষ্ট কাচঘেরা মিনিবাসে চড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণরত বাঘ, জেব্রা, জিরাফ, সাদা সিংহ, সাম্বার, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, ভাল্লুক, গয়ালসহ বিচিত্র প্রাণির জীবনবৈচিত্র উপভোগ করতে পারবেন। লেকের পাশে দেখতে পাবেন অসংখ্য অতিথি ও জলজ পাখি। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠে বনাঞ্চলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ও বণ্যপ্রাণি অবলোকন করতে পারবেন। পাখিশালায় দেখতে পাবেন দেশি-বিদেশি অসংখ্য বিপন্নপ্রায় পাখি।
এছাড়া পার্কজুড়ে থাকা বিভিন্ন বেষ্টনীতে থাকা অজগর, কুমির, উট পাখি, ইমু পাখি, ময়ূর ও বিরল প্রজাতির প্যারা হরিণ দেখতে পাবেন। হাতিশালায় হাতিতে উঠার অপূর্ব সুযোগ রয়েছে সবার জন্য। প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠা প্রজাপতি কর্নারে ভিন্ন মাত্রা এনে দেবে ভ্রমণ পিপাসুদের মনে।
সাফারি কিংডম: সাফারি কিংডমে পর্যটকগণ পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে পারেনএবং প্রাণিকূলকে ছোট-খাট বেষ্টনীর মধ্যে আবদ্ধ রাখা হয়।
সাফারি কিংডমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণির নৈপুণ্য ও খেলাধুলা প্রদর্শনের মাধ্যমে পর্যটকদের চিত্তবিনোদন, বন্যপ্রাণি সংক্রান্ত শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা। সাফারি কিংডম ৫৭৫ একর এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
লেখক: সিনিয়র তথ্য অফিসার
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়