Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচনী সংলাপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:০৮ PM
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২৭ PM

bdmorning Image Preview


আসন্ন ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সংলাপে বসার অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রাপ্ত চিঠিগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে বৈঠকে বসছে। সংলাপ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এনায়েতুল্লাহ কৌশিক বলেন, সংবিধানের ভিতরে থেকেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭দফা দাবি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আগে দেখা গেছে শুধু ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সংলাপের আবেদন করেন কিন্তু এখন তো দেখছি অন্যান্য দলগুলোও সংলাপের জন্যে চিঠি দিয়েছে। সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর চিঠির জবাবে সংলাপে বসতে সময় দিচ্ছে। এটি কেমন ফল আনবে বুঝা যাচ্ছে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে সরকারকে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

তিনি বলেন, একদিকে সংলাপ অন্যদিকে নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তড়িগড়ি করছে। তবে সংলাপে জনগণের মনে এক ধরনের সস্তি নিয়ে এসেছে।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন বলেন, সংলাপটি দেশের জন্যে ভালো ফল বয়ে আনবে। কেননা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে আন্তর্জাতিক একটি চাপ আছে। সে ক্ষেত্রে সংলাপে বসা প্রধানমন্ত্রীর জন্যে একটি ভালো উদ্যোগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজীব রাজ দাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে কোনোভাবেই মনে হয় না এই কার্যক্রমের কোনো বাস্তবিক ফলপ্রসূতার দেখা পাবো আমরা। কারণ ২০১৪ সালেও এরকম সংলাপে বসেছিলেন তারা, কিন্তু আদৌতে কোনো কিছু হয়নি। তা ছাড়া মূল সমস্যা হলো কোনো দলই তার নিজ জায়গা থেকে কম্প্রোমাইজ করতে পারে না। তাই আমি মনে করি এই সংলাপ শুধুই একটি দেখানো কার্যকলাপ৷ এর কোনো বাস্তবিক পরিবর্তন আমরা পাবো না।

অন্যদিকে দেখেন, বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড আরো বাড়ানো হয়েছে। একটা বিষয় আমরা সবাই নিশ্চিত যে বেগম খালেদা জিয়া আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না  এদিকে গণতান্ত্রিক পরিবেশের রেশ টেনে ফ্রন্ট গঠন করা হলো। কিন্তু সেখানে গণতন্ত্রের ছিটেফোটাও নেই। সবারই একটাই উদ্দেশ্য আর সেটা হলো ক্ষমতায় থাকা।

তাই সার্বিকভাবেই আমি মনে করি এই সংলাপের তেমন কোনো কার্যরত ভূমিকা নেই।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তামজিদ হায়দার চঞ্চল বলেন, সংলাপের বিষয় নিয়ে আমার একটাই মতামত। আর সেটা হলো, উভয়পক্ষেরই ক্ষমতা চায়৷ এই সংলাপের মাধ্যমে আসন ভাগাভাগির একটা বিষয় উঠে আসতে পারে বলেই আমরা শিক্ষার্থীরা মনে করছি। কারণ, বর্তমান ক্ষমতাবান কিংবা ক্ষমতাসীন যে দলের কথায় বলেন না কেনো তাদের মূল উদ্দেশ্য পাওয়ার। ফ্রন্টের নিজস্ব কিছু দাবি রয়েছে। কিন্তু সেই দাবির কোথাও এই অসুস্থ শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করণের কথা উল্লেখ করে কোনো চাওয়া নেই। প্রশ্ন পাস হলে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের দুর্বলতা আর কতোদিন ঢাকা যাবে আসলে? কিন্তু এই ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য আসলে কেউ এগিয়ে আসে না। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যদি বলি তাহলে এই সংলাপের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কথা বাদই দিলাম আমাদের দেশের অবকাঠামো গত কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা সে নিয়ে আমি অনেকটাই সন্দিহান।

Bootstrap Image Preview