Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রবেশ পথে তালা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের বিক্ষোভ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১২:০৮ PM
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে হাইকোর্টে ১০ বছরের সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। এ সময় আদালত কক্ষে প্রবেশের দুটি পথে তালা দিয়েছেন বিক্ষোভকারী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যরা।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।বার ভবন থেকে আদালতের প্রবেশপথের ছোট গেটে (কলাপসিবল গেট) তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আইনজীবীরা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেছেন, তারা মামলার শুনানি করতে যাচ্ছেন না। অপরদিকে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা এই বর্জনের প্রতিবাদ করছেন। তারা চেষ্টা করছেন আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলার তালা ভাঙার। এ সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে আদালতে যেতে আইনজীবী ভবনের বিভিন্ন কেচি গেট তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে আদলত। সে সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়া। গত মঙ্গলবার তার আপিল গ্রহণ না করে খারিজ করে দিয়েছে আদালত। অপরদিকে দুদকের আপিল গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।

এ ছাড়া ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিলও খারিজ করেছে আদালত। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালত বসে এ রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মোমতাজ উদ্দিন ফকির। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। তবে এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করা কোনো আইনজীবীকে আদালত কক্ষে দেখা যায়নি।

গত ১২ জুলাই এ আপিল শুনানি শুরু হয়। এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দী। বাকি তিন আসামি পলাতক। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুজন হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

পলাতক তিন জন হলো- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত।

Bootstrap Image Preview