ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
৪৪ লাখ ৪৩ হাজার নগদ, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের ৫টি চেক, ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ডিপোজিট চেক বই ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ চট্রগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসকে অাটক করেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১টায় চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে অাসা ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে মাদক ও নগদ টাকাসহ তাকে অাটক করা হয়।
অাটককৃত জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস ময়মনসিংহ সদরের অার কে মিশন রোড এলাকার মো. জিন্নত অালীর ছেলে।
রেলওয়ে থানা পুলিশ জানান, ঘটনার দিন দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে তল্লাশী চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে তার নিকটে থাকা ২টি ব্যাগ জব্দ করে থানায় নিয়ে অাসা হয়। থানায় এসে ব্যাগ খুলে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, চেক, ডিপোজিট বই, মাদক পাওয়া যায়।
কারা পরিদর্শকের নিজ নামে ময়মনসিংহ সদর শাখার ব্রাক ব্যাংকে ২০ লাখ, সাউথ ইস্ট ব্যাংকে ৪০ লাখ, প্রিমিয়াম ব্যাংকে ৭০ লাখ টাকার চেক। সেসব চেকগুলোর উত্তোলণে তারিখ ছিল অাগামী ২৮ অক্টোবর।
এ ছাড়াও তার স্ত্রী হোসনে অারা পপির নামে প্রিমিয়ার ব্যাংকে ৫০ লাখ, মাকের্টলাইলস ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকা ও তার শ্যালক রাকিবুল হাসান নামে মার্কেটাইল ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকাসহ মোট ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার ডিপোজিট চেকবইসহ বিভিন্ন ব্যাকের ৩টি খালি চেক পাওয়া যায়।
এ বিপুল পরিমাণ টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্রগ্রাম কারাগারের কারা পরিদর্শক সোহেল রানা বিশ্বাস বলেন, অামি দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ চট্রগ্রাম কারাগারে পরিদর্শক হিসাবে চাকরি করছি। অামার তো টাকা থাকতেই পারে। এ বিপুল পরিমাণ টাকার উৎসের কথা জানতে চাইলে এ বিষয়ে কিছু বলতে ইচ্ছুক না বলে তিনি জানান।
ভৈরব রেলওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ অাব্দুল মজিদ জানান, গোপন সংবাদেে ভিত্তিতে দুপুরে ভৈরব জংশনে চট্রগ্রাম থেকে চেয়ে অাসা ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা ও মাদকসহ তাকে অাটক করা হয়। ধারণা করা যাচ্ছে এ বিপুল পরিমাণ টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে নিজ বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে যাচ্ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।