অবশেষে বি. চৌধুরীকে বাদ দিয়েই আলোচিত জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের ঘোষণা আসছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব থেকে ঘোষণা হতে যাচ্ছে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডি থাকছে এই জোটে।
শনিবার দুপুর থেকে রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে দফায় দফায় বৈঠকে এর রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এই জোটে থাকছে না বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারা। দলটির সভাপতি বি. চৌধুরী পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন তার বারিধারার বাসায়।
আজ শনিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় একইসময়ে পৃথক স্থানের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করবে দুই পক্ষ। এদিকে প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে বি. চৌধুরীকে আসার আহ্বান জানিয়েছেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তবে বি. চৌধুরী বা বিকল্পধারার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
জানা যায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য স্থির হয়েছে। প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন থেকে এর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। আর জোটের নামের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আবম মোস্তফা আমীন।
এ জোট গঠন উপলক্ষে শনিবার দুপুর থেকেই ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারের বৈঠক তিনটার দিকে বৈঠকে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এরপর সাড়ে তিনটার দিকে তিনি বেরিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চেম্বারে যান। পরে চারটার দিকে আবারও সেখানে ফিরে আসেন ফখরুল। সরেজমিনে দেখা গেছে, ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে মির্জা ফখরুল একান্তে বৈঠক করছেন।
শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পরিষ্কার হয় বৃহত্তর ঐক্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বি. চৌধুরী থাকছেন না। সে সময় ড. কামাল হোসেনের বাড়ি এসে গেট থেকে ফিরে যান বি.চৌধুরী। যাওয়ার সময় মাহী বি চৌধুরী জানান, যে আমন্ত্রণ করে এনে দেশের বয়োজেষ্ঠ রাজনীতিকের সঙ্গে দেখা না করা শিষ্টাচার বহির্ভূত। বোঝা যাচ্ছে, কাদের কারণে জাতীয় ঐক্য হলো না। গত কয়েকমাস আগে লিখিত সই করেছিলেন ঐক্য করবেন বলে। যদিও তা আর হচ্ছে না।