Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চকবাজারে নকল কসমেটিকস পণ্য তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ১১

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩২ PM
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩২ PM

bdmorning Image Preview


কসমেটিকস ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য নকল করে তৈরি বিক্রির অপরাধে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার ( অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর চকবাজারে অভিযান চালিয়ে নকল কসমেটিকস পণ্য তৈরির কারখানা খুঁজে পেয়েছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এই কারখানা হতে বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস ব্র্যান্ড জনসন, লেকমি, লরিয়েলের নকল পণ্য সামগ্রী জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

এই অভিযান বিষয় সারোয়ার আলম জানান, ‘ সব নকল কারখানায় তারা জনসন, লেকমি, লরিয়েল, কিস বিউটিসহ নানা ধরনের নামি দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী তৈরি করত। পরে সেগুলো গুদামজাত করত এবং সময় বুঝে বাজারে ছেড়ে দিত।

তিনি আরো বলেন, ‘এখানে আমরা ৪২ ধরনের কসমেটিকস পণ্য পেয়েছি, যার সবটাই নকল। সব নকল পণ্য তৈরির পর তারা যে সব দোকানে সুপারশপে ছাড়ত তার সন্ধানও আমরা পেয়েছি। জনসনের যে পণ্যগুলি রয়েছে সেগুলো কিন্তু এখনো বাংলাদেশে শিশুদের জন্য ব্যবহার করা হয়। তারা সব পণ্য নকল করে বাজারে ছাড়ত।

ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘অভিযানকালে একই মালিকের দুইটি কারখানার সন্ধান মেলে। সেই কারখানার মালিক পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক করা সম্ভব না হলেও তার ম্যানেজারকে আমরা আটক করেছি। চকবাজারে পাঁচটি কারখানায় অভিযানকালে হাতেনাতে পণ্য তৈরির সময় ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের ছয় লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি এক মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত জেল দেওয়া হয়েছে।

অভিযানে অংশ নেওয়া বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, ‘তারা মূলত সব পণ্যের কাঁচামাল চীন থেকে নিয়ে আসার পর এখানে তৈরি করছে। সব পণ্যের কাঁচামাল মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা হতো। কিন্তু তারা তো মিথ্যে ঘোষণায় আনা সব পণ্যের ছাড়পত্র পাওয়ার কথা নয়, তারপরও তারা কাউকে না কাউকে ম্যানেজ করে সব করেছে। সব পন্যের ক্রেতা রাজধানীর বিভিন্ন নামি দামি মার্কেটের দোকান সুপারশপের মালিক। তারা তাদের কাছে অর্ডার দিয়ে সব পণ্য তৈরি করে নিত।

উল্লেখ্য, ‘চকবাজার সম্পর্কে প্রচলিত আছে- বাজারে যেকোনো পণ্য সূলভ মূল্যে বা পাইকারি দরে পাওয়া যায়। আর এর প্রমাণও পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিম্নমানের কালি আর ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির কসমেটিকস। নামি দামি কোম্পানির লিপস্টিকও তৈরি করা হতো এই কারখানায়। পরে সেগুলো বাজারে ছাড়ার আগে বিভিন্ন কোম্পানির লোগো বা লেভেলিং করা হতো। তারা সব এত নিঁখুতভাবে তৈরি করছে, দেখে বোঝার উপায় নেই সব নকল পণ্য। নকল সব পণ্যের জন্য তৈরি করা হয় বারকোট মেয়াদউত্তীর্ণ মনোগ্রামও। তারা এখানে জনসন কোম্পানির শ্যাম্পু, সাবান, ফেসওয়াশ, লােশনও তৈরি করত।

Bootstrap Image Preview