Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রীর গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের বেহাল দশা, সুবিধা পাচ্ছে না গৃহহীনরা

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৪৪ PM
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


'শেখ হাসিনার অবদান, গৃহহীনদের বাসস্থান'-এ শ্লোগানকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম- আঙ্গোরপোতা ইউনিয়নে নির্মিত হয় দহগ্রাম গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প। সিভিআরপি’র এ প্রকল্পে গৃহহীন ৮০টি পরিবারের বসত বাড়ি নির্মাণের মধ্যে ৩০টি বসত বাড়ি নিমার্ণের কাজ আজও শেষ হয়নি। ফলে প্রধানমন্ত্রীর গুচ্ছগ্রাম-২ প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আঙ্গোরপোতা-দহগ্রামের সুবিধাভোগী গৃহহীন ৩০ পরিবার। ওই পরিবার গুলো গুচ্ছগ্রামের নির্মিত ঘরে উঠতে না পারায় তারা মানবতার সাথে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।

পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-১ গুচ্ছগ্রাম সুবিধাভোগী সংগঠনের সভাপতি সইদুল ইসলাম বলেন, গুচ্ছগ্রাম ২য় পর্যায়ে (সিভিআরপি) প্রকল্পে প্রথমে ৫০টি ও পরে ৩০টি ঘর নিমার্ণের অর্থ বরাদ্দ পায় পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর কুতুবুল আলম। কিন্তু কোটি টাকা ব্যয়ে দহগ্রাম বড়বাড়ী এলাকায় প্রথম দফায় ৫০টি ঘরের নির্মাণ কাজ কিছুটা ভালো হলেও পরের ৩০টি ঘরের নির্মাণ কাজ দায়সারা ভাবে করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী উক্ত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব ইউএনও নুর কুতুবুল আলমের থাকলেও তিনি ঘর গুলোতে মাটি ভরাটের কাজ দেন স্থানীয় দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইদুল ইসলামকে। এছাড়া ঘর গুলো নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। ওই ইউ-পি সদস্য মাটি ভরাটের কাজ আজও সম্পন্ন করেনি। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহহীনদের বাসস্থান প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে না দহগ্রামের গৃহহীন ৩০টি পরিবার।

অপরদিকে ইউএনও নুর কুতুবুল আলম ওই প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই কাগজ-কলমে তা সম্পন্ন দেখিয়ে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হয়ে ঠাকুরগাঁও বদলী নিয়ে চলে যান। যে কারণে ওই প্রকল্পের সুবিধা ভোগী ৩০টি গৃহহীন পরিবার আজও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলোতে উঠতে পারেনি। তারা মানবতার সাথে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

ওই প্রকল্পের সুবিধা ভোগী আব্দুর ছাত্তার বলেন, এসে দেখি ঘরে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। পরে নিজের টাকায় মাটি ভরাট করেছি। একই অভিযোগ করেন, ওই প্রকল্পের অপর সুবিধা ভোগী হাফিজার রহমান, কামাল হোসেন, ময়জান বেগম ও সাহাদুল ইসলাম।

তবে পাটগ্রামের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর কুতুবুল আলম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী ঘর গুলোতে মাটি ভরাট করেছি। কিন্তু যাকে মাটি ভরাটের দায়িত্ব দিয়ে ছিলাম তার মুখে শুনেছি মাটি চুরি হয়ে গেছে। আর দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইদুল ইসলাম জানান, আমি ট্রলি হিসেবে মাটি দিয়েছি। কোনো ঘরে মাটি ভরাট সম্পন্ন হয়েছে কি না তা আমি বলতে পাবো না।

পাটগ্রামের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম বলেন, আমি নতুন এসেছে, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি সরেজমিনে গিয়ে সমস্যা সমাধান করে সুবিধা ভোগীদের ঘরে উঠার ব্যবস্থা করব।

Bootstrap Image Preview