Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধুনটে পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম বন্ধের নেপথ্যে অব্যবস্থাপনা

রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ 
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:১৬ PM
আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:১৬ PM

bdmorning Image Preview


নানা সমস্যা সংকট ও অব্যবস্থাপনার কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদের পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম প্রায় ৩ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ১৯৮৮সালে পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে উপন্যাস, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, ইতিহাস, রাজনীতি, আইন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়সহ বিভিন্ন প্রকার প্রায় ১ হাজার ৫০০ বই রয়েছে। লাইব্রেরি পরিচালনার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে ৭সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত টিনসেড ঘরে লাইব্রেরির কার্যালয়। উপজেলা পরিষদ থেকে পাবলিক লাইব্রেরির জন্য একজন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পৃষ্টপোষকতার অভাবে প্রায় ১০বছর ধরে লাইব্রেরিয়ানের সম্মানি ভাতা বকেয়া রয়েছে। অবকাঠামোগত কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আসন সংখ্যা সীমিত। পাঠকের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা গড়ে ওঠে নি। লাইব্রেরি খোলার কোন নিয়মনীতি নেই।

এছাড়া সেখানে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক কোন পত্র পত্রিকার ব্যবস্থা রাখা হয় নি। একারণে লাইব্রেরিতে পাঠকের কোন পদচারণা নেই।

বিধি মোতাবেক ওই লাইব্রেরিতে দুই বিভাগে সদস্য (পাঠক) ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে ক বিভাগের সদস্যরা ২৫০টাকায় ভর্তি হয়ে মাসিক ১০টাকা চাঁদা প্রদানের মাধ্যমে সপ্তাহে দু’টি করে বই সংগ্রহ করতে পারেন।

এছাড়া খ বিভাগের সদস্যদের ১০০টাকা প্রদানের মাধ্যমে সদস্য হয়ে মাসিক ৫টাকা চাঁদা দিয়ে সপ্তাহে একটি করে বই সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত নতুন সদস্য ভর্তি হয় নি। এমনকি পুরানো সদস্যরাও লাইব্রেরির দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকাচ্ছেন না।

উপজেলা সুজনের যুগ্ম সম্পাদক কলামিষ্ট রেজাউল হক মিন্টু বলেন, পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি নেই। বই সংকটসহ পাঠকের জন্য সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে। মূলত পৃষ্টপোষকতার অভাবে লাইব্রেরিটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

লাইব্রেরিয়ান আব্দুস সাত্তার জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি সম্মানি ভাতা না পেয়ে দায়িত্ব পালনে উৎসাহ হারাচ্ছেন। জীবিকার তাগিদে উপার্জনের বিকল্প পথে ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত ভাবে লাইব্রেরি খুলে রাখা সম্ভব হয় না। লাইব্রেরির নানা সমস্যা সংকটের সমাধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে কোন কাজ হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে লাইব্রেরিয়ানকে সম্মানি ভাতা প্রদান এবং লাইব্রেরির উন্নয়নের জন্য কোন তহবিল নেই। তারপরও অন্যভাবে তহবিল গঠন করে লাইব্রেরির ঐতিহ্য ধরে রাখার ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Bootstrap Image Preview