নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামের সাংবাদিক নুরজাহান বেগম (৩৫) তার জুয়ারু ও 'অর্থলোভি' স্বামীর নির্যাতনের উপযুক্ত বিচার চান। তিনি স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় উপজেলার বনপাড়াস্থ স্থানীয় প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। নুরজাহান অনলাইন পত্রিকা নয়াবর্তার বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি।
সাংবাদিক সম্মেলনে নুরজাহান তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তার বিয়ে হয় গোপালপুর গ্রামের মৃত তজিদ্দিনের ছেলে আব্দুল আওয়ালের (৪৫) সাথে। বিয়ের সময় দেনমোহর ধার্য্য করা হয় ৫ লক্ষ টাকা। বিয়ের আগে থেকেই স্বামী আব্দুল আওয়াল পর নারী ও জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল এবং তা বিয়ের পরেও চলমান রাখে। এসব কাজে বাধা দিলে আওয়াল আরও বেপোরোয়া হয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে যৌতুকের দাবি তুলে তাকে বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।
অত্যাচার সইতে না পেরে তিনি ওই সময় গ্রামীণ ব্যাংক (এনজিও) থেকে ২ লক্ষ টাকা উঠিয়ে স্বামীকে দেন। সেই টাকা আওয়াল জুয়া আর নারীদের পেছনে শেষ করে এবং টাকার জন্য পূণরায় তাকে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে আবারও শুরু হয় নির্যাতন। পরবর্তীতে অত্যাচার সইতে না পেরে তিনি নাটোর কোর্টে মামলা করেন এবং সেই মামলায় আওয়াল ২২ দিন কারাভোগ করেন। এ সময় আর কখনও নির্যাতন না করার মুসলিকা আদালতে জমা দিয়ে আওয়াল পূনরায় সংসার জীবন শুরু করে। তবে ওই নতুন সংসার শুরু করার আগে নতুন করে ১লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দেনমহোর ধার্য করে আবারও দুই জনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
কিছুদিন সংসার ভালো চলার পর এ বছর মার্চ মাস থেকে আবারও শুরু হয় আওয়ালের নারীপ্রীতি ও জুয়া খেলা। একই সাথে আবারও টাকার দাবিতে চলে নির্যাতন। দীর্ঘদিন অত্যাচার চালাতে থাকলে তা সইতে না পেরে তিনি পূণরায় পিসিডি (এনজিও) থেকে ১ লক্ষ টাকা উঠিয়ে স্বামীকে দেন। সেই টাকাগুলোও স্বামী আওয়াল একইভাবে শেষ করে আবারও তাকে অত্যাচার শুরু করে। পরিশেষে আর কোন উপায়ন্তর না দেখে তিনি ১৫ সেপ্টেম্বর স্বামীর বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কুমার দাস জানান, সাংবাদিক নুরজাহান থানায় মামলা করেছেন এবং মামলার তদন্তের ভার এসআই মামুনের উপর দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।