উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর কূল উপচে চরাঞ্চলে বিভিন্ন জাতের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনা পাড়ের মানুষের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বহমান যমুনা নদীর পানি ১৬.৭০ সেন্টিমিটার বিপদসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে পানি বেড়ে ফুসে উঠেছে যমুনা নদী। গত ১২ ঘন্টায় ৬সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা পাড়ের মানুষের মাঝে শঙ্কা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে নদীর কূল উপচে পানি চরাঞ্চল ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দিকে ধেয়ে আসছে। নদীর পূর্ব তীর ডুবে পুকুরিয়া, নিউসারিয়াকান্দি, বৈশাখী ও রাধানগর চরের কৃষকের জমির ধান, মাসকলাই, মরিচ ও বিভিন্ন জাতের সবজি ক্ষেতে পানি প্রবেশ করছে।
রাধারনগর চরের কৃষক ফজলুল হক বলেন, ৩০ শতক জমিতে মাসকলাই ও ২০ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছিলাম। কিন্ত শনিবার সকালের দিকে পানি বেড়ে সেই ক্ষেতের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, প্রতিদিনই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে চরাঞ্চলে ক্ষেতের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখিন হবে। এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারি প্রকৌশলী হারুনর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখা হয়েছে।