ঝিনাইদহে লাইসেন্স ছাড়া চলছে সিএনজি, নজরদারি নেই প্রশাসনের

ঝিনাইদহ সড়ক-মহাসড়কে লাইসেন্সবিহীন অবৈধভাবে চলছে সিএনজি, নসিমন, ভটভটি। কিন্তু তাতে নেই প্রশাসনিক নজরদারি। এদিকে একটি মহলের অবৈধ বাণিজ্যে নিয়মিত টাকা প্রদান করে চলছে এসকল সিএনজি, নসিমন করিমন ভটভটি মালিক চালকগণ।

জেলার চার প্রধান সড়ক ও মফস্বলে চলছে এসব যানবাহন। চারটি সড়ক হচ্ছে যথাক্রমে, যশোর সড়কে হাটখোলা বিষয়খালী, মাগুরা সড়কে টার্মিনাল-গোপালপুর, কুষ্টিয়া সড়কে আরাপপুর-গাড়াগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড। মফস্বলে চলছে ডাকবাংলা বাজার, সাধুহাটি, বাজার গোপালপুর, হাটগোপালপুর ও চুলকানি বাজার দিয়ে নিয়মিত চলছে এসব যানবাহন।

৬ বছর ধরে সিএনজি চালানো আড়ুয়াকান্দী এলাকার মোহাম্মদ ইসহাকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আজ থেকে ৫ বছর আগে ব্যাংক ড্রাফট করেও পাইনি কোন নাম্বার প্লেট বা রেজিস্ট্রেশনের কাগজ।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসকল চালক ও মালিকপক্ষকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ টাকা প্রদান করতে হচ্ছে। তারা প্রতিদিন মালিক সমিতি বাবদ দিচ্ছেন ২০ টাকা, আনুসাঙ্গিক খরচ ৩০ টাকা তোলা হচ্ছে। হাটের রাস্তা থেকে পাগলাকানাই পর্যন্ত একজন চালককে প্রতিদিন দিতে হচ্ছে  ২০ টাকা ও ১০ টাকা দিচ্ছেন বিষয়খালী বাজারের স্টান্ডে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ বি আর টি এ সহকারী পরিচালক বিলাস সরকার জেলায় মোট সিএনজির সংখ্যার কোন হিসাব জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, গত ৪ বছর ধরে জেলায় তিন চাকার এই যানের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে। সরকার যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে তেমনি কোন নম্বরপ্লেট না থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে কি জাতীয় নিরাপত্তা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আরডিসি মিটিংয়ে আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি এসব গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এর পরে ঝিনাইদহ তিন চাকা যান মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিদিন এই পরিমাণ টাকা প্রদানের সত্যত্যা স্বীকার করেন।

এই ঘটনায় ঝিনাইদহ ট্রাফিক পরিদর্শক কৃষ্ণ পদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পারিবারিক ব্যস্ততার কথা জানান, আজ তিনি ছুটিতে আছেন কি না এমন প্রশ্নেরও কোন উত্তর প্রদান করেননি।