Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বান্দরবানে সফল জননী হিসেবে সম্মাননা পেলেন ইয়াছমিন আক্তার

এস.কে নাথ, বান্দরবান প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৩৯ PM
আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৩৯ PM

bdmorning Image Preview


বান্দরবানে ৫ জন সফল নারীর মধ্যে সফল জননী হিসেবে সম্মাননা পুরস্কার পেলেন ইয়াছমিন আক্তার রুবি। অপর ৪ জন হলেন অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী জাহান আরা বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সফল নারী ইন্দিরা ত্রিপুরা, নির্যাতনের বিভিষিকা মুছে সফল নারী সালেহা বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় সফল নারী পাইংম্রা উ মারমা। জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে এসব সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বিভিন্ন কেটাগরিতে সফল ৫ জয়িতাকে আজ রবিবার দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সংবর্ধনা দেয়া হয়। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ দাউদুল ইমলাম। অন্যান্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার, সিভিল সার্জন ডাঃ অং সুই প্রু, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আতিয়া চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বান্দরবানে জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের উদ্যোগে বেগম রোকেয়া দিবস পালন করা হয়েছে। রবিবার সকালে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুন:রায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।  পরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জয়িতা সম্মাননা পাওয়া সফল জননী ইয়াছমিন আক্তার রুবি জানান, চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে তিনি তার ৩ সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তারমধ্যে বড় ছেলে কাজী সালাহ উদ্দিন কাদের প্রিন্স ও কাজী তানজিনা এলিন এ্যাডভোকেটশীপ করেছেন এবং ছোট মেয়ে কাজী তাসলিমা নাসরিন জেরিন চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিকুল অবস্থার মধ্যেও তিনি তার সন্তানদের সু শিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি জয়িতা সম্মাননা পেয়ে আনন্দিত এবং গর্বিত। সেই সাথে যাদের পরিশ্রমে আজ এই সম্মাননা পেলেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সফল এই জননীর ছেলে এ্যাডভোকেট কাজী সালাহ উদ্দিন কাদের প্রিন্স জানান, তারা ৩ ভাই-বোন উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য যখন ঢাকায় পড়া-লেখা শুরু করেন তখন তাদের একমাত্র মা সহায়ক ছিলেন। বাবা থেকেও নেই। পরিবারের অন্য সদস্য এবং জেলার স্বনামধন্য নেতা-নেত্রীদের কাছ থেকেও কোন ধরনের সহায়তা পাননি। সম্পদ বিক্রি করে এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধার দেনা করে একমাত্র তার মা নানা মুখি মানষিক চাপ ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তাদের গ্রাজুয়েট করেছেন। ইয়াসমিন আক্তার রুবি আজ বান্দরবান জেলার সফল জননীর মডেল। দেশ ও জাতির ভবিষত বিনির্মাণে এই মায়েরাই আর্দশ নারী। 

Bootstrap Image Preview