ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী উপজেলা বালিয়াডাঙ্গী। জেঁকে বসেছে শীত। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আর কুয়াশার কারণে সকাল থেকে দেখা মিলছেনা সূর্যের। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যা নামতে না নামতেই শুরু হওয়া ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছেনা সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল দুপুর ১২টা বাজলেও মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। রাতভর টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। রাত ৮ টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রামের হাট বাজারগুলো। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভীড় করছেন অনেকেই। শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। সেই সাথে শীতে জড়োসড়ো হয়ে গেছে গবাদী পশুও। কেউ কেউ আবার খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা ।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রায় ২ হাজার শীতবস্ত্র আমাদের দিয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম মুঠোফোনে বলেন, জেলা প্রসাসন ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কম্বল বিতরণের জন্য পাঁচটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রেরণ করা হয়েছে। যার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কিছু লেপ তৈরি করা হয়েছে। যারা একেবারে অসহায়, তাদেরকে লেপ ও আর্থিক কিছু নগদ অর্থ দিয়ে সহতায়তা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিন।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে নিজ নিজ এলাকার পিআইও অফিসারদের সাথে কথা বলে শীতবস্ত্র পাঠানোর জন্য।