রুমের ভেতরে তিন বছরের ছেলেকে মেরে কাফনের কাপড় পরিয়ে টি টেবিলের ওপর রেখেছেন বাবা নুরুজ্জামান। আর বড় সন্তানকে বুকে জড়িয়ে হাতে রামদা নিয়ে বসে আছেন। নিহত শিশুটির নাম নূর সাফায়েত।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ তাকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এ সময় নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজধানীর বাংলামোটরের লিংক রোডের ১৬ নম্বর বাড়িতে ঘটে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড।
বুধবার সকালে ওই বাসায় এক বাবা তার দুই শিশুসন্তানকে ‘জিম্মি’ করে রেখেছেন—এমন সংবাদে বাসাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। কিছুক্ষণ পর র্যাব, পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে ফেলেন।
র্যাব ২–এর এসআই শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমি বাড়ির ভেতরে ঢুকেছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি- শিশুটির বাবা বসে আছেন, তার পাশে একজন হুজুর বসে আছেন। শিশুটিকে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো একটি টেবিলের ওপর রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বড় সন্তানকে বুকে জড়িয়ে হাতে বড় রামদা নিয়ে বসে আছেন।
শিশুটির বাবাকে কোনো সাহায্য লাগবে কিনা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের কারও সাহায্য লাগবে না। আপনারা কেন এসেছেন? আপনারা চলে যান। বেলা ১টার দিকে আমি নিজে আজিমপুর কবরস্থানে গিয়ে আমার ছেলেকে দাফন করব।
নুরুজ্জামানের ভাই উজ্জ্বল জানান, বাংলামোটরের এ বাসায় দুই শিশুসন্তান সাফায়েত ও সুরায়েতকে নিয়ে থাকেন তার ভাই। এ ছাড়া তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাসখানেক আগে তার স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। আজ সকালে তার ছোট ছেলে নূর সাফায়েত বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে মারা গেছে বলে মসজিদে গিয়ে ঘোষণা দিতে বলেন কাজল। তার পর মাদ্রাসার ছাত্রদের পবিত্র কোরআন খতম দেয়ার জন্য নিয়ে যেতে চান। এ কথা শোনার পর আবদুল গাফফার নামে একজন খাদেম মাদ্রাসা থেকে তার সঙ্গে যান।