Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

তালাক দেওয়ার অপরাধে ২৭ দিন অন্ধকার ঘরে শেকলবন্দি স্ত্রী!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ১০:২৪ PM
আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ১০:২৪ PM

bdmorning Image Preview


নির্যাতন ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে তালাক দেওয়ার অপরাধে ২৭ দিন অন্ধকার ঘর থেকে শিকলবন্দী অবস্থায় মাহফুজা আক্তার মুন্নি (৩৯) একজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সাভার পৌর এলাকার জামসিং মহল্লার সোলায়মান মার্কেটর এলাকার সোলেমানের বাড়ি থেকে শিকলবন্দী অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত নারীর নাম । সে পৌর এলাকার জামসিং মহল্লার মজিবর রহমানের মেয়ে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ছাড়াও নির্যাতন করে বেঁধে রাখার ঘটনায় আরও তিনজন পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

এ সময় অপহরন এবং নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই নারীর দেবর আলেক মিয়া (৩৫) ও ওই নারীর ছেলে মিরাজুল ইসলামকে (২৪) আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা জায়, প্রায় ২৭ দিন আগে দুই সন্তানের জননী মাহফুজা আক্তার মুন্নিকে তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী সোলেমান মিয়া এবং ছেলে মিরাজসহ কয়েকজন লোক রাতের আঁধারে অপহরন করে নিয়ে আসে। পরে তাকে সোলায়মান মার্কেট এলাকার সোলেমানের বাড়ির একটি কক্ষের ভিতর খুটির সাথে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়।

মাহফুজা আক্তার মুন্নি জানায়, ১৯৯৪ সালে একই এলাকার সোলেমানের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছেলে মিরাজ ও মেয়ে মার্জিয়াকে নিয়ে স্বামীর ঘরে বসবাস করি। এ সময় তার স্বামী ঠিকমতো ভরনপোষনা না দেয়ায় সে মাশরুম চাষ করে সংসারের খরচ চালাতো।

প্রায় তিন বছর আগে স্বামী সোলেমান তাকে গরম পানি দিয়ে শরীর পুড়িয়ে দেয় এবং আড়াই বছর আগে লোহার সাবল দিয়ে মুন্নির বাম হাত ভেঙ্গে দেয়। এ ভাবে প্রতিনিয়ত স্বামীর অত্যার বাড়তে থাকায় দুই বছর আগে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসে মাহফুজা আক্তার মুন্নি।

এ দিকে কিছুদিন আগে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলেকে বিয়েকে করার সিদ্ধান্ত নিলে স্বামী সোলেমান ও ছেলে মিরাজসহ পরিবারের লোকজন আমাকে অপহরণ করে নিয়ে ঘরে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বলেন, অমানবিকভাবে নারীকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে জানতে পেরে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিত নারীকে শিকল বন্দি অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকিদেরকে ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েল করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview