Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চাঁদা চাইতে গিয়ে তাড়া খেলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:১৫ AM
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:১৫ AM

bdmorning Image Preview


চাঁদা চাইতে গিয়ে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে আসলেন গোদাগাড়ী মডেল থানার এসআই আব্দুল মান্নান ও এএসআই ফারুক হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার চকপাড়া (ঠুনঠুনিপাড়া) আদিবাসী গ্রামে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর গোদাগাড়ী উপজেলা চকপাড়া (ঠুনঠুনি পাড়া) আদিবাসী গ্রামে সাদা পোষাকে দুইজন মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। সেখানে শ্রী চিকন মুরমু নামের এক যুবকের বাড়ীতে ঢুকে মাদক ব্যবসা করে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সার দাবি করে। 

এ সময় শ্রী চিকন মুরমু তাদের  রিচয় জানতে চাইলে তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে চিকন মুরমু হাসুয়া দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে এএসআই ফারুক হোসেন তা হাতদিয়ে ধরে নিজেকে থানা পুলিশ দাবি করে। পরে চিকন মুরমু আশে পাশের লোকজনকে চিৎকার দিয়ে জানায় গ্রামে পুলিশ ঢুকেছে। গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ঘিরে এসে তাদের কাছে পুলিশের আইডি কার্ড দেখলে চাইলে তা দেখাতে পারেনি। এই সময় গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশের দুই কর্মকর্তা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি তারা  জিম্মি করে রাখে।

গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছলে গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হতে থাকে। তারা দাবি জানান যেসব পুলিশ এসে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলো চড় থাপ্পড় মারলো তাদের এখানে হাজির চাই নইলে মোটরসাইকেল দেব না বলে চিৎকার করতে থাকে।

শ্রী চিকন মুরমু জানান, সাদা পোষাকে দুজন এসে আমার বাসায় হঠাৎ ঢুকে খারাপ আচরণ টাকা দাবি ও চড় থাপ্পর মারে। এতে আমার স্ত্রী এর প্রতিবাদ করলে পুলিশ আমার স্ত্রীকেও চড় থাপ্পর মারে।

গ্রামবাসী অভিযোগ জানান, আমরা আদিবাসী মদ চুয়ানী খাই এর সুযোগে থানা পুলিশ আমাদের কাছে প্রায় আসে এবং টাকা পয়সা নিয়ে যায়। আজ যে ভাবে পোষাক পড়ে, এসে খারাপ আচারণ করছে এগুলোর প্রতিকার চাই।

এই ঘটনার পরিস্থিতি সামাল দিতে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হাশমত আলী পরে ঘটনা স্থলে গেলে গোদাগাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের উপস্থিতিতে আদিবাসীদের বুঝিয়ে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

অভিযুক্ত গোদাগাড়ী থানাও এসআই আব্দুল মান্নান ও এএসআই ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিলো ওই গ্রামের রাস্তা দিয়ে ইয়াবা নিয়ে মাদক কারবারী যাচ্ছে। সেই গ্রামে ঢুকলে তারা আমাদের না বুঝতে পেরে ভূল বুঝাবুঝি হয়েছে। তবে কোন টাকা পয়সা চাওয়া হয়নি বলে দাবি করে।
 

Bootstrap Image Preview