গ্রেফতারের ১০৭ দিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল ইসলাম।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন শহিদুল আলম। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান শহিদুল আলম। রবিবার সেই জামিন স্থগিতের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু শুনানি শেষে উচ্চ আদালত শহিদুল আলমের জামিন বহাল রাখেন।
মঙ্গলবার তার মুক্তির আশায় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কারাগারের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ, স্বজন ও তার আইনজীবীরা। কিন্তু দিনভর অপেক্ষার পরও মেলেনি শহিদুল আলমে মুক্তি। পরে রাত সোয়া ৮টার দিকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকালে জামিনের যে কাগজ আমাদের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল সেটাতে ঠিকানা ভুল ছিল। পরে সেটা আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই তার স্বজনরা পৌঁছে দেন। এরপর যাচাই বাছাই শেষে রাত সাড়ে ৮টায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি এলাকায় ফেসবুক লাইভ করেন শহিদুল আলম। এছাড়াও তিনি এই আন্দোলনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকার দেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। পরদিন ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।