Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

'প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন পায়নি বিএনপি'

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৪৯ PM
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাথে সংলাপের পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকমীদের মামলার তালিকা জমা দেওয়ার পরও রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হচ্ছে ব্যাপক নেতাকর্মী জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন পায়নি বিএনপি'।

সোমবার(১৯ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী জানান, পুলিশের বেপরোয়া আচরণ ও হয়রানীতে আবারো ‘ফেনী মার্কা’ নির্বাচনের আলামত পাওয়া যাচ্ছে। গতকালও ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, ঝিনাইদহ, ফেনি, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে বিনা মামলায়, বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ কর্তৃক প্রিজাইডিং অফিসারদের নাম চাওয়া, বিএনপি’র কোন লোক নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে কি না ইত্যাদি তদারকি করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

তিনি আরো জানান, সারাদেশে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দাপুলিশ তালিকা তৈরি করছে। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে কারা কারা সরকার দলের সমর্থক, কারা বিরোধী দলের সমর্থক তাদের তালিকা করছে তারা। এমনকি বিরোধী মতের সমর্থক হলে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে মোবাইলেও তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের প্রকাশ্য ও গোপন হুমকিতে এ নিয়ে দেশজুড়ে শিক্ষকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

এসময় তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকমীদের বাড়িতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের উপরও হামলা করছে, মারধর করছে, কিংবা পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে । আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের হাবুডুবু খাওয়াতেই নির্বাচনী মাঠ জনশুন্য করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি দেউলিয়া হয়ে গেছে বলেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনাচারে লিপ্ত হয়েছে।

সরকার নির্বাচন কমিশনকে একেবারে গিলে ফেলেছে বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন নোংরাভাবে ইসিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ ইসি’র কতিপয় কর্মকর্তা সেই সুযোগ করে দিয়েছে। আত্মা বিক্রির শর্তেই কতিপয় নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয় প্রশাসনকেও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। দেশজুড়ে এখনও গায়েবি মামলা, গ্রেফতার, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে নিপীড়ণ অব্যাহত রয়েছে আগের মতোই।

তিনি আরো বলেন, 'পৃথিবীর কোন দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, বাংলাদেশেও শতভাগ স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন হবে না' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী আহমেদ বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তাদের বক্তব্য এক আশঙ্কাজনক অশনি শংকেত। সিইসি ও ইসির বক্তব্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও ভোট ডাকাতিতে উৎসাহিত করবে।

তারা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শপথ নিয়েছেন, কিন্তু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তারা শপথ ভঙ্গ করেছেন। যে বক্তব্যটি অবৈধ শাসকগোষ্ঠীকেই উৎসাহ যোগাবে।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, বিটিভি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান হলেও নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার পরও আওয়ামী লীগের পক্ষে একচেটিয়া প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গতকাল একটি বেসরকারি টেলিভিশনে নির্বাচনি জনমত জরিপের নামে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কৃত্রিমভাবে জনমত বেশি দেখিয়ে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিসহ বেসরকারি টেলিভিশনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কোন চিহ্নই নেই, তফশীল ঘোষনার পরও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিসহ কতিপয় বেসরকারী টেলিভিশন নির্লজ্জ মোসাহেবী করছে সরকারী দলের পক্ষে।

Bootstrap Image Preview