ভৈরবে আ.লীগ বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ ১২ জন আহত

রাজীবুল হাসান, ভৈরব প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আওয়ামী লীগ বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।

আজ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের চন্ডিবের এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ সময় ভৈরব উপজেলা বিএনপি একটি নির্বাচনী কর্মীসভা করছিল।

আহতরা হলেন, পুলিশের এসআই অভিজিৎ, পুলিশ সদস্য আবদুল হাকিম, সদস্য আবদুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, ৯ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আক্তার হোসেন, যুবদল নেতা জসীম উদ্দিন, পৌর যুবলীগ সভাপতি ইমন রহমান ইমন, যুবলীগ নেতা সব্রত, সোহরাব, ছাত্রলীগ নেতা রাকিব, প্রান্ত, আমজাদ।

এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনার সময় আক্তারের একটি ঔষধের ফার্মেসীসহ তিনটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

এ দিকে রাত সাড়ে ৮টায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগকর্মীরা উপজেলা বিএনপির শহরের ডালপট্রির বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ও একটি ভেনিস বাংলা রেস্টুরেন্ট ভাংচুর করে।

জানা গেছে, আজ রবিবার সন্ধ্যার পর উপজেলা বিএনপির নির্বাচনী একটি জনসভা শহরের চন্ডিবের এলাকায় শুরু হয়। এ সভাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়। এ সময় চন্ডিবের হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ঔষধের ফার্মেসীসহ তিনটি দোকান ভাংচুর করে উত্তেজিত কর্মীরা।

পরে আওয়ামী লীগ কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে রাত সাড়ে ৮ টায় ভৈরব বাজার ডালপট্রির বিএনপির অফিস ও বিএনপি সমর্থিত ভেনিস বাংলা রেস্টুরেন্টটি ভাংচুর করে।

এ বিষয়ে ভৈরব পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি শাহীন জানান, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চন্ডিবের এলাকায় বিএনপির একটি কর্মীসভায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালালে এই ঘটনা ঘটে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন জানান, যুুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের সভার উপর আতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং তারা ভৈরব বাজারে গিয়ে বিএনপির অফিসসহ একটি রেস্টুরেন্ট ভাংচুর করে বলে তিনি জানান।

ভৈরব পৌর যুবলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন ইমন জানান, আমাদের কর্মীরা ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিতে চন্ডিবের গেলে বিএনপির কর্মীরা আমাদের কর্মীর ওপর আক্রমণ করে। ফলে এই ঘটনা ঘটে।

ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক অভিজিৎ জানান, দুই দলের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে পরিস্হিতি শান্ত করে। এসময় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিন পুলিশও আহত হয় বলে তিনি জানান।