নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আশড়ন্দ বাজার মুংরইল এলাকার একটি ধান ক্ষেত থেকে আবার মারতœক বিষধর রাসেল ভাইপার নামক আরেকটি সাপ ধরা পড়েছে।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় কৃষকরা সাপটিকে ধরে বস্তাবন্দি করতে সক্ষম হন যার দৈর্ঘ্য আগের সাপটির সমান প্রায় সাড়ে ৪ ফুট।
জানা যায়, গ্রামের একদল কৃষক ধান ক্ষেতে ধান কাটতে কাটতে কৃষকরা সাপটিকে দেখতে পায় সাপটি নড়াচড়া করছিলনা দেখে শরিফ নামে এক কৃষক সে হাত দিয়ে সাপটিকে ধরে বস্তাবন্দি করে এবং সঙ্গে সঙ্গে তারা জবই বিল জীববৈচিত্র সংরক্ষন কমিটি ও বিবিসিএফ সংগঠনের সদস্যদের জানালে সংগঠনের সদস্যরা গিয়ে বস্তা থেকে সাপটি ধরে একটি কলসের মধ্যে সংরক্ষন করেন।
এ বিষয়ে জবই বিল জীববৈচিত্র সংরক্ষন কমিটির সভাপতি সোহানুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এরকম সাপ কিছুদিন আগে ধরে রাজশাহী বনবিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে এখন আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছি সাপটিকে কি করা যায় এবং আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরীর সাথে কথা বলেছি তিনি স্থানীয় বনবিভাগের কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান মিরপুর ঢাকার পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম এর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি ফেসবুকে ছবিটি দেখলাম কিছুদিন আগেও ওই এলাকায় এরকম সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সাপটির নাম রাসেল ভাইপার বাংলা নাম চন্দ্র বোড়া। যে সাপ ধরা পড়েছে সাপটি খুবই বিষাক্ত সাধারনত বরেন্দ্র অঞ্চলে এ জাতীয় সাপের বিস্তার দেখা গেছে। রাজশাহী অঞ্চলে দিনদিন এর বিস্তার বাড়ছে এবং এ সাপ যাকে ছোবল মারে সাথে সাথে তার মৃত্যু নিশ্চিত এবং সাপটির ছোবলে মানুষের শরীরে পচন ধরে।
সাপটি সংরক্ষণ বা অবমুক্তর বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান এর আগে উদ্ধার সাপটি আমরা নিয়ে বঙ্গবন্ধ সাপারি পার্কে জমা দিলে তারা এরকম সাপ আর নিতে নিষেধ করেছে তাই আমরা এরকম সাপ আর নিব না বরং যেখানে জনবসতি নেই এমন কোন স্থানে সাপটি অবমুক্ত করা যায় কিনা সে বিষয়টা ভেবে দেখতে হবে এবং সেখানে অবমুক্ত করতে হবে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, এরকম সাপ এ এলাকায় অনেক দেখা যাচ্ছে তাই সাপটি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ও এর হাত থেকে নিস্তার পেতে যা করণীয় তার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে।