Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ডাক্তারের ভুল অপারেশরে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩৮ PM
আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা সততা নাসিং হোমে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী জাহানারা খাতুন (১০) এপেন্ডিসাইটিস অপারেশর করতে গিয়ে ডাক্তারের ভুল অপারেশনে ৭ দিন পর মাথায় মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। জাহানারা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর কানাইডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী জাহানারা খাতুনের পেটে যন্ত্রণা শুরু হলে কার্পাসডাঙ্গা সততা নাসিং হোমে নেওয়া হয়। পেটে যন্ত্রণার কথা শুনে নাসিং হোম কর্তৃপক্ষ একটা আলট্রা করে বলেন এটা এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা, এখনই অপারেশন করাতে হবে না হলে বড় সমস্যা হয়ে যাবে। এ সময় দিনমজুর জাহানারার পরিবারের লোকজন অপারেশনের ব্যবস্থা করতে বলেন।

নাসিং হোম কর্তৃপক্ষ দ্রুত ডাক্তার আবদুল্লা আল মামুনকে সংবাদ দিয়ে ডেকে আনেন। ডাক্তার মামুন ১০ নভেম্বর শনিবার সন্ধায় কার্পাসডাঙ্গা সততা নাসিং হোমে উপস্থিত হয়ে জাহানারার এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করে চলে যান। অপারেশনের পর জাহানারা সুস্থ্য না হয়ে ক্রমান্বয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় ৪ দিনের মাথায় ১৪ নভেম্বর নাসিং হোম কর্তৃপক্ষ জাহানারাকে রিলিজ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

বাড়ি যাওয়ার পর সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সততা নাসিং হোমের পরামর্শে পরিবারের লোকজন তাকে ১৬ নভেম্বর শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে জাহানারার অবস্থা আরও অবনতি হলে সদর হাসপাতাল থেকে তাকে রাজশাহী মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে রেফর করেন।

এ বিষয়ে ডা. আবদুল্লা আল মামুন বলেন, মেয়েটির ব্রেনে ইনফেকশনের জন্য মারা গেছে। তার মারা যাওয়ার সাথে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশেনের কোন সম্পর্ক নেই।

পরিবারের অভিযোগ ডাক্তার আবদুল্লা আল মামুনের ভুল অপারেশনের কারণে শিশু জাহানারাকে অকালে প্রাণ দিতে হলো।

Bootstrap Image Preview