দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে নুরুজ্জামান সরকার (পুষি) (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ৪ দিন পর মস্তক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মাগুরা গ্রামের উত্তর পশ্চিমে মাঠের ধান ক্ষেতের ভেতর থেকে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় ওই মস্তকটি উদ্ধার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে যেখান থেকে তার গলাকাটা লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ বিচ্ছিন্ন মস্তক উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। আজ (রবিবার) দুপুরে সেখান থেকে দক্ষিন দিকে কয়েক বিঘা জমির দুরত্বে মাঠের ধান ক্ষেতের ভিতর থেকে ওই ব্যবসায়ীর বিচ্ছিন্ন মস্তকটি উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, গত শুক্রবার লাশের অবস্থান থেকে উত্তর দিকে কয়েক বিঘা জমির দুরত্ব থেকে তার পরনের সার্ট, প্যান্ট, জাঙ্গিয়া ও জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত মস্তকটি দেখার জন্য সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে মাগুরা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে ওই দিনই পুষির বড় ভাই মনিরুজ্জামান সরকার বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকালে মাগুরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের নিকট পাওনা টাকা নিতে গিয়ে পুষি আর বাড়ি ফিরে না আসায় পরের দিন বৃহস্পতিবার রফিকুলের গ্রামের পার্শ্বে ধান ক্ষেতের ভিতর থেকে তার লাশ পাওয়া যায়।
কি কারণে এ চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।