Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘ইঞ্জিলচুলার’ ব্যবহার না জানায় আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০০ AM
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০০ AM

bdmorning Image Preview


কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলোতে হঠাৎ করে ‘ইঞ্জিলচুলা’ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গারা গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলাকে বলে ‘ইঞ্জিলচুলা’। রোহিঙ্গারা যুগ যুগ ধরে জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি ব্যবহারে অভ্যস্ত। ১১ লাখ রোহিঙ্গার ৩০টি আশ্রয়শিবিরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দ্রুত পৌঁছার রাস্তাও নেই।

শীত পড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে আশ্রয়শিবির। রোহিঙ্গারা বর্ষার কয়েক মাস কাটিয়েছে পাহাড়ধস–আতঙ্কে। এখন দুশ্চিন্তার বড় কারণ শীতের আগুন। কারণ, আশ্রয়শিবিরের বসতিগুলো তৈরি হয়েছে বাঁশের খুঁটিতে পলিথিন ও ত্রিপল দিয়ে।

রোহিঙ্গাদের দাবি, বিদেশি একাধিক সংস্থা ঘরে ঘরে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলা সরবরাহ করলেও ব্যবহার জানে না কেউ। সম্প্রতি কয়েকটি ঘরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার না করে বিক্রি করে দিচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া আরেফা বেগমের বাড়ি রাখাইন রাজ্যের বলীবাজারে। তিনি বলেন, ‘সারা জীবন কাঠ দিয়ে রান্না করেছি। এখানে ইঞ্জিলচুলায় করতে হচ্ছে। কখন বিস্ফোরণ ঘটে, সেই আতঙ্কে থাকি।’ ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘরে এই চুলা বিস্ফোরিত হয়ে নারী–শিশু আহত হয়েছে। গ্যাসের চুলা বাদ দিয়ে রোহিঙ্গা নারীরা অনেকেই ক্যাম্পে জ্বালানি কাঠ দিয়ে রান্না করছেন। কারণ ইঞ্জিলচুলা ব্যবহারে ভয় পাচ্ছে তারা।

উখিয়ার বালুখালী, মধুরছড়া, ময়নারঘোনা, হাকিমপাড়া, টেকনাফের শালবন আশ্রয়শিবিরেও একই অবস্থা। শীত মৌসুমে গরম কাপড়চোপড়ের সংকটের পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড নিয়ে রোহিঙ্গারা বেশি উদ্বিগ্ন।

গত ১৬ অক্টোবর রাতে টেকনাফের শালবন আশ্রয়শিবিরের এ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউনুসের ঝুপড়িঘরে বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে মোহাম্মদ ইউনুস (২৯), তাঁর স্ত্রী শওকত আরা বেগম (২২) ও ছেলে এহসান (২) গুরুতর আহত হয়।

গত ১৮ জুলাই উখিয়ার থাইংখালীর আশ্রয়শিবিরের বি-১৩ ব্লকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনটি বসতি পুড়ে যায়। এ সময় ধলুবিবি (৪৫), জুলেখা বিবি (৫৫), অলী আহমদ (৪০), মো. রায়হান (৩০) ও আমান উল্লাহ (২৩) আহত হন। ওই সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শিবিরগুলোতে ত্রিপলের বসতি তৈরি হয়েছে একটার সঙ্গে আরেকটা লাগানো। সিগারেট অথবা রান্নাঘরের আগুন কোনো একটি ঘরে লাগলে তা মুহূর্তে পুরো শিবিরে ছড়িয়ে পড়বে। তখন আগুন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

Bootstrap Image Preview