নোয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত সোনাপুর-জোরালগঞ্জ সড়কের "ছোট ফেনী নদীর" উপর নির্মিত ৪৭৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক জনাব তন্ময় দাস ও পুলিশ সুপার জনাব ইলিয়াস শরীফ ও সাংবাদিক দের উপস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু উদ্বোধন করা হয়।
অবহেলিত নোয়াখালী, ফেনী ও চট্রগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে অচিরেই যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। এটি চালু হওয়ায় নোয়াখালীর কয়েক লক্ষাধিক অধিবাসী উপকৃত হবে। এতে করে সময় ও অর্থ দু’টোর সাশ্রয় হবে। এতদ্বঞ্চলের লাখ লাখ যাত্রী নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে চৌমুহনী-ফেনী হয়ে সড়ক পথে চট্রগ্রাম যাতায়াতে ৫/৬ ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়। সোনাপুর-জোরালগঞ্জ সড়ক চালু হওয়ায় বন্দর নগরী চট্রগ্রামের সাথে মাত্র দুই ঘন্টায় যোগাযোগ সম্ভব।
উল্লেখ্য, প্রকল্প এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪৬ কোটি টাকা। বিগত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতুটি চালু হওয়ায় দুই পার্শ্বে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। ইতিমধ্যে সড়কের পাশে জমির মূল্য বৃদ্বি পেয়েছে। বিভিন্ন শিল্পোদ্যোক্তা সম্ভাব্য স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।
এছাড়া এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী মাত্র দুই আড়াই ঘন্টায় চট্রগ্রাম বন্দরে সরবরাহ সম্ভব । সড়ক ও সেতু নির্মাণের শুরু থেকে সোনাপুর থেকে চট্রগ্রামের জোরালগঞ্জ পর্য্যন্ত সড়কের দুই পার্শ্বের হাজার হাজার মানুষের মধ্যে খুশীর জোয়ার বইছে। বহুল প্রতীক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চালু হওয়ার পাশাপাশি প্রায় চার লক্ষাধিক অধিবাসীর বাড়তি আয়ের সূযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করে বিশিষ্টজন।