Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৩৯ দলের জোট নিয়ে এবার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের যাত্রা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৯ PM
আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


জনমানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষে ৩৯ দলের জোট নিয়ে এবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নতুন এই রাজনৈতিক দল ও কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।

ফ্রন্টে লামিনাল ফিহাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে। শরীকদের মধ্যে রয়েছে জাতীয় গণ-সংগ্রাম পার্টি ও সভাপতি কেএম হাসান, কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি সিরাজুল হক, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন (দিপুমীর), বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, আম জনতা পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ বেনজীর আহম্মদ, বাংলাদেশ সেবা দলের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল মো. আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাধারণ পার্টির চেয়ারম্যান মাইনুল হাসান (সোহেল মামা), ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, ইউনিটি ফর বাংলাদেশের সভাপতি আরিফুর রহমান।

এটি অপেক্ষাকৃত তরুণ মানুষের জোট উল্লেখ করে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস পার্টির চেয়ারম্যান ও জোটের চেয়ারপারসন লামিনাল ফিহা বলেন, বিশ্বাস করি আমরা তরুণই জাতির ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের জোটের মূল বিশ্বাস। আমরা দেশের সার্বিক উন্নয়ন, ব্যাপকভাবে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, গরিব, আশ্রয়হীনদের বাসস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি অর্থনীতি গড়ে তোলা তুলতে একসঙ্গে কাজ করব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট সুষম বণ্টন ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠন ও মানুষের মানবাধিকার বাস্তবায়নে সদা সতর্ক থাকবে। এই জোট জনমানুষের কল্যাণে নানামুখী সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে। ব্যাপকভাবে দেশের নদী খনন ও পানিসম্পদ বণ্টনের ব্যবস্থা করবে। নবগঠিত এই জোট সব ধর্মকে সম্মান করে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখবে। তবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও উগ্র মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেবে না।

তিনি বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও সব প্রকার আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করব, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনকে যুগোপযোগী সংস্কারের ব্যবস্থা করব, গণতন্ত্র ও সুশাসন বজায় রাখা ও অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে বাস্তবমুখী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনকে পুনগঠন করা সহ নিবন্ধন প্রথা শিথিলকরণ এবং আধুনিক ভোটগ্রহণ পদ্ধতির প্রবর্তন করতে কাজ করবে। যাতে নির্বাচন ব্যয় সংকোচন করা যায়।

Bootstrap Image Preview