বগুড়ার ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যকে মারধর করায় সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগসহ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ বুধবার মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিন বাদী হয়ে দুপুরের দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ১২আগষ্ট সকালে আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিনকে শহরের একটি হোটেলের ভেতর মারধর করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ। এই ঘটনায় ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন আল আমিন।
ফলে সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে সংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা আ.লীগের সভাপতি টি আইএম নুরুন্নবী তারিক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন বগুড়া জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমানের নিকট সুপারিশ করেন।
বগুড়া জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দফতর সম্পাদক মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত একটি পত্রে সুলতান মাহমুদকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে আল আমিন আমার এক নিকট আত্মীয়র থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্ত চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আমার নিকট থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। এসব টাকা ফেরত চাওয়ায় আল আলমিন আমাকে গালাগালি করে। এ সময় তার সাথে আমার হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আল আমিনের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, আল আমিনের অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।