গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাকৃষ্ণপুর এসকেএস ইন থেকে দক্ষিণ দিকে হরিপুর গ্রামের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচল করতে গিয়ে চারটিরও বেশি গ্রামের পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তাটি পাকাকরণ করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে দাবি করেছে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীরা।
হরিপুর বিদ্যালয় ও গ্রামবাসী সুত্রে জানা যায়, ১৯৫২ সালে স্থাপিত হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করণ করা হয় ১৯৭৩ সালে। শিক্ষক ৬ জন ও শিক্ষার্থী রয়েছে ২২০ জন। শিক্ষার্থীরা মধ্য রাধাকৃষ্ণপুর, হরিপুর, পশ্চিম রাধাকৃষ্ণপুর ও ভাটপাড়া গোপালপুর গ্রাম থেকে বিদ্যালটিতে যাওয়া-আসা ও এসব গ্রামের মানুষ জেলা শহরে সহজে চলাচল করার জন্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাঁচা রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি রিকসা-ভ্যানসহ ব্যাটারিচালিত অটোরিকসা চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে মানুষদের। এ ভোগান্তি বর্ষা মৌসুমে আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে অসুস্থ্য রোগী নিয়ে স্বজনরা পড়েন বিপাকে। এ ছাড়া ব্যবসায়িরা মালামাল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শিকার হন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সামান্য বৃষ্টি হলেই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাঁচা রাস্তার অনেক স্থানেই গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পানি জমে থাকে। ফলে খানাখন্দের সৃষ্টি হলে যানবাহন চালকরা আর এ রাস্তায় চলাচল করতে চান না। খুব বেশি প্রয়োজন হলে বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হয় এসব এলাকার মানুষদের। অন্ধকার রাত্রিতে এসব গর্তে পিছলে পড়ে ভোগান্তির শিকার হন মানুষজন। দ্রুত চলাচলের জন্য হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এসকেএস ইন-তিনগাছ তলা হয়ে জেলা শহরে খুব সহজেই যাওয়া-আসা করা যায়।
পশ্চিম রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা বকুল মিয়া বলেন, এই রাস্তাটি তিন গাছতলা থেকে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পাকা করার কথা ছিল। সম্প্রতি তিন গাছতলা থেকে এসকেএস ইন পর্যন্ত পাকাকরণ করা হয়। কিন্তু এসকেএস ইন থেকে হরিপুর স্কুল পর্যন্ত কাঁচা রাস্তার বাকী অংশটুকু পাকা না করার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন এলাকার পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আল রাসেল বলেন, অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে রাস্তার এসব গর্তে জমে থাকা পানিতে পিছলে গেলে পোষাক নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সেদিন আর সেই শিক্ষার্থী ক্লাশ করতে পারেনা। তাই জনগুরুত্ব বিবেচনা করে এই রাস্তাটি জরুরীভিত্তিতে পাকাকরণ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ মোল্লা বলেন, রাস্তাটির রোড আইডি নেই, গেজেটে নাম নেই। ওই রাস্তাটির নাম গেজেটে তোলার জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। গেজেটে নাম উঠলে রাস্তাটি পাকাকরণ করার প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।