গামী ১৬ মে ৬৯তম মিস ইউনিভার্স-২০২০ প্রতিযোগিতার মূল আয়োজন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে। ওই আয়োজনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে ৫ মে দেশ ছাড়ার কথা ছিল এবারের 'মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ' তানজিয়া জামান মিথিলার। কিন্তু মঙ্গলবার জানা গেল ‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’-এর ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিযোগী মিথিলার নাম।
মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিস ইউনিভার্স আয়োজনে বাংলাদেশ অংশের পরিচালক শফিক ইসলাম।
তিনি বলেন, 'লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণে এবার মূল আয়োজনে অংশ নিতে পারছি না। সেটা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। যাওয়ার আগে আমাদের বেশ কিছু প্রস্তুতিও নিতে হতো, সেগুলো এই লকডাউনের ভেতরে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এটাও অন্যতম কারণ'।
একটি নোটিশ মঙ্গলবার সকালে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে। সেখানে লেখা- 'লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে আমরা প্রস্তুতি শেষ করতে পারিনি। তাই আমরা এবারের আসরে অংশ নিতে পারছি না। বিষয়টি মূল আয়োজকদের এই সপ্তাহে জানানো হয়েছে'।
এদিকে মিথিলা বলেন, 'অংশ নিতে না পারার অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথম কারণ হলো- করোনা ভ্যাকসিন নিতে না পারা। দ্বিতীয় কারণ, ভিসার জন্য আবেদন করা হলেও লকডাউনের কারণে সে তারিখ ক্যানসেল হয়েছে। তৃতীয় কারণ প্রি-প্রডাকশন ভিডিও তৈরি হয়নি। চতুর্থ কারণ, ন্যাশনাল কস্টিউমও তৈরি হয়নি'।
মিস ইউনিভার্স আয়োজনের বাংলাদেশ অংশের পরিচালক শফিক ইসলাম এটাও জানিয়েছেন, বিজয়ী হওয়ার পর তানজিয়া জামান মিথিলাকে ঘিরে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল, তার সঙ্গে মূল আয়োজনে অংশ নিতে না পারার কোনো সম্পর্ক নেই।
গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে তানজিয়া জামান মিথিলাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন ভারতের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং।
যদিও খেতাবজয়ী মিথিলার বিরুদ্ধে একাধিক 'অনিয়মের অভিযোগ' ও বিতর্কের অভিযোগ ওঠে। মুকুট মাথায় নেওয়ার পর থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার। অভিযোগ ওঠে 'বিশেষ সহায়তা' নিয়ে এবারের মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ তিনি। এমন অভিযোগের তীর যখন মিথিলার দিকে, তখন নতুন করে সমালোচনার জন্ম দেন এ সুন্দরী। তার বিরুদ্ধে নেটিজেনরা যৌন হয়রানির অভিযোগও তোলেন।
এদিকে তথ্য গোপন করেছেন বলেও জানা গেছে মিস ইউনিভার্স। ১৯৯২ সালে জন্ম হলেও তিনই তথ্যে ১৯৯৪ সাল ব্যবহার করেন। মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষের নিকটও বয়সের বিষয়টি ১৯৯২ সাল হিসেবে প্রেরণ করেন। অথচ শিক্ষাগত সনদ ও পাসপোর্টে মিথিলার জন্মসাল ৩১ জানুয়ারি ১৯৯২।
এ বিষয়ে মিথিলা স্পষ্ট কথা বলতে চাননি। গণমাধ্যমকে বলেন, 'সবকিছুতে নেগেটিভ খুঁজে বেড়ান কেন? আমি কোনো ভুল তথ্য দিইনি। ১৯৯২ হলেও আমি কোয়ালিফাইড, ১৯৯৪ হলেও আমি কোয়ালিফাইড। আর বয়সের বিষয়টি মিস ইউনিভার্স বুঝবে। তাদের কাছে সব তথ্য দেওয়া আছে'।
মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ শুরুর আগেই মিথিলা যে চ্যাম্পিয়ন হবে এ কথা চাউর হয়। শান্তা পাল নামের এক তরুণী বিষয়টি নিয়ে বেশ হইচই করেন। শোনা যায় বিশেষ নজরে মিথিলাই প্রথম হবেন। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। একের পর বিতর্ক মিথিলাকে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের আসরে যেতে দিল না।