বাংলা সিনেমায় মার্শাল আর্ট কিংবদন্তি ও অ্যাকশন কিং হিরো হিসেবে সুপরিচিত চিত্রনায়ক রুবেল। অভিনয় ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুপারহিট ছবি। ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এক জমি একাধিকবার বিক্রির অভিযোগে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রুবেলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তের ভার পড়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর। এরপর বাদীর নারাজিতে আদালত মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন সিআইডিকে। সিআইডির তদন্তে অভিযুক্ত হয় রুবেলসহ ১৩ জন। তবে জামিনে থাকা চিত্রনায়ক রুবেলের দাবি, তিনি পরিস্থিতির শিকার।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, মামলাটি এখনও আদলতে বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। আমি আদালতে বিজ্ঞ বিচারককে ওই সময়ই বলেছি, আমি পরিস্থিতির শিকার। আমার ভুল হয়েছে কোন একজনকে বিশ্বাস করে। আমি সব কিছু বিচারককে খুলে বলেছি। এও বলেছি, আমি দোষী হলে আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হবে আমি মাথা পেতে নেবো।’
কাকে বিশ্বাস করে আপনার ভুল হয়েছে? জানতে চাইলে রুবেল বলেন, ‘এই জমি সংক্রান্ত পুরো ঝামেলাটাই তৈরি হয়েছে আমার এক ছাত্রের কারণে। ওর নাম ছাত্র বুলবুল ইসলাম। ওর কথাতেই জমিটি কিনি। তবে মজার বিষয় হচ্ছে সাভারের আশুলিয়ায় জমিটি কোথায়? তা আমি আজও জানি না। জমিটি ওই ছাত্র কয়েকবার বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করেছে। তাও আমার জানা ছিল না।’
জমি কেনার পর একাধিকবার বিক্রি, সেখানে কি আপনার স্বাক্ষর ছিল না? উত্তরে রুবেল বলেন, ‘হ্যাঁ ছিল। জমিটি কেনার সময় আমাকে জানানো হয়। তখন আমি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শুটিং স্পটে আমি সেই স্টাম্পে স্বাক্ষর করে দেই। এরপর আরও কয়েকবার স্বাক্ষর করেছি, তবে আমাকে জানানো হয়েছে জমির কাজের জন্যই এই স্বাক্ষর নেওয়া। আমি ভুল করেছি, ওকে বিশ্বাস করে। ওই সময় কাগজের কথাগুলো পড়ে স্বাক্ষর করলে, আজ এই ঝামেলা হতো না।’
মামলার বাদীদের সঙ্গে কি যোগাযোগ করেছেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, কয়েকবার তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি এসব বিষয় তাদেরকেও খুলে বলেছি। একই কথা আমি আদালতেও বলেছি। অভিনয় ক্যারিয়ারে আমার একটা সুনাম আছে। আমি জেনে শুনে কখনো কারো কোনো ক্ষতি করিনি। আর করার চিন্তাও করেনি। আমার ওই ছাত্র এখন পলাতক। ওকে আইনের কাছে ধরিয়ে দিতে আমিও চেষ্টা করছি। আমার ভুল হয়েছে এটা আমি স্বীকার করেছি। আমার এই ভুলের কারণে আদালত যে শাস্তি দেবে, আমি মাথা পেতে নেব।’